সামান্থার মেদহীন চেহারার নেপথ্যে একমাত্র শরীরচর্চার অভ্যাস লুকিয়ে নেই। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনয়ের পাশাপাশি শরীরচর্চা নিয়ে অত্যধিক সচেতন সামান্থা রুথ প্রভু। ইনস্টাগ্রামে মাঝেমাঝেই নিজের শরীরচর্চার ভিডিয়ো অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন অভিনেত্রী। দক্ষিণী তারকা হলেও বলিপাড়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা কম নয়। ‘ফিটনেস ফ্রিক’ অভিনেত্রী হিসাবে বলিউডের বাকি নায়িকাদের সঙ্গে তাঁর নামটিও উচ্চারিত হয়।
নায়িকা মানেই তাঁকে ভিতর থেকে ফিট থাকতে হবে। এমনটাই দস্তুর। কিন্তু নিজের যত্ন নেওয়া সহজ নয়। অনেক নিয়ম মেনেও সফল হন না অনেকে। কিন্তু সামান্থা এ বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে। তিনি যে ফিট থাকতে যথেষ্ট পরিশ্রম করেন, তা নায়িকাকে দেখলেই বোঝা যায়। জিমে কিংবা বাড়িতে, নিয়ম করে শরীরচর্চা তিনি করেনই। তবে তাঁর এই মেদহীন চেহারার নেপথ্যে একমাত্র শরীরচর্চার অভ্যাস লুকিয়ে নেই। বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে সামান্থা নিজেই জানিয়েছিলেন, প্রচুর জল খান তিনি। শরীর আর্দ্র না রাখলে ফিট থাকার বাকি সব চেষ্টাই বিফল হবে।
রোজ সকালে উঠে এক কাপ গরম জলে চুমুক দেন সামান্থা। ছবি: সংগৃহীত।
রোজ সকালে উঠে এক কাপ গরম জলে চুমুক দেন সামান্থা। এতে নাকি শরীরে জমে থাকা যাবতীয় টক্সিন বাইরে বেরিয়ে যায়। অনেকেই শরীরচর্চার পর জল খেতে ভুলে যান। এই অভ্যাস খারাপ বলেই মনে করেন অভিনেত্রী। শরীরচর্চার সময় প্রচুর ঘাম বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। শরীরে জলের পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখতে তাই তেষ্টা না পেলেও শরীরচর্চার পর জল খাওয়া জরুরি।
শক্ত কোনও খাবারের চেয়ে তরল খাবার খেতেই বেশি পছন্দ করেন সামান্থা। স্মুদি, ডিটক্স পানীয়ের উপরেই ভরসা রাখেন তিনি। যে ফল এবং সব্জিতে জলের পরিমাণ বেশি, সেগুলি দিয়েই স্মুদি বানিয়ে খান তিনি। তাঁর অন্যতম প্রিয় স্মুদির প্রধান উপকরণ হল টম্যাটো। এ ছাড়াও শসা, ডাবের জল, তুলসী পাতা, বিটনুন, গোলমরিচ, অলিভ অয়েল এবং চিয়া বীজ— এই উপকরণগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় সামান্থার প্রিয় স্মুদি। সারা দিন চনমনে থাকতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই পানীয়ে সকালে চুমুক দেন তিনি। এই পানীয় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।