প্রতীকী ছবি।
দু’চোখের পাতা এক না হলে বিশ্রাম হয় না। এমন ভাবেন অনেকে। কিন্তু অনেকেই আছেন, যাঁরা চোখ খুলেই ঘুমোন। এটি তেমন বিরল কোনও পরিস্থিতি নয়। প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের মধ্যে এমন অভ্যাস দেখা যায়। তার মানে কি এ নিয়ে ভাবনার কিছু নেই?
তেমনও নয়। বিভিন্ন কারণে চোখ খুলে ঘুমোন কিছু মানুষ। এঁদের মধ্যে অধিকাংশেরই থাকে একটি অসুখ। ‘নকটারনাল ল্যাগোপথ্যালমস’। এ হল এমন একটি রোগ, যার প্রভাব পড়ে স্নায়ু ও পেশির উপর। সে কারণেই আর পাঁচ জনের মতো চোখের পাতা বন্ধ হয় না ঘুমের সময়ে। এঁদের মধ্যে অনেকে আছেন, যাঁদের বাইরে থেকেই কোনও সমস্যা হয়েছে। হয়তো চোখের পাতায় কোনও চোট লেগেছিল ছোটবেলায়। সেই থেকেই চোখ খুলে ঘুমোনোর অভ্যাস। অনেক সময়ে স্ট্রোক বা কোনও টিউমারও হয় চোখ খুলে ঘুমোনোর কারণ। পোলিও, চিকেন পক্স, মামসের পরেও কারও কারও চোখ বুজে ঘুমের অভ্যাস উধাও হয়।
প্রতীকী ছবি।
চোখ খুলে ঘুম কি শরীরের ক্ষতি করতে পারে?
চোখের স্বাভাবিক বিশ্রাম হয় না এ ক্ষেত্রে। ফলে চোখের উপর বেশ খানিকটা চাপ বাড়ে। তার ফলে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ চুলকনো বা জ্বালা করার সমস্যা হয়। অনেকের আবার চোখ শুকিয়েও যায়। যথেষ্ট যত্ন না নিলে এর কারণে দৃষ্টিশক্তিও ধীরে ধীরে হারাতে পারেন। কারণ বিশ্রামের অভাবে চোখের মণির ক্ষতি হয়।
এর কি কোনও চিকিৎসা আছে?
সাধারণত চোখের ড্রপ, মলম দিয়ে লাল ভাব কমানো হয়। চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যারও সে ভাবে চিকিৎসা করা যায়। তবে যাঁদের বেশি সমস্যা হচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারও করা হয়ে থাকে। অস্ত্রোপচারের পরে অনেকেই চোখ বন্ধ করে ঘুমোতে পারেন অন্যদের মতো।
পরিচিত কারও মধ্যে এমন সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।