প্রতীকী ছবি।
কথাতেই আছে ভাতঘুম— বাঙালির অভিধানে এ খুবই পরিচিত শব্দ। মধ্যাহ্নভোজনের পরে কিছুক্ষণ গড়িয়ে না নিলে যেন তৃপ্তি আসে না। কিন্তু কাজের দিনে শখের ভাতঘুমই হয়ে ওঠে কাল। তখন দুপুরের খাবারের পরে কাজে মন দিতে গেলে ভাতঘুমের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই চালাতে হয়। খাওয়ার পর দেহে ইনসুলিনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার ফলে ঘুমের সহায়ক বেশ কিছু হরমোন নির্গত হয়। এই হরমোনগুলি মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও মেলাটোনিনে পরিণত হয় যা আলস্য আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করলে ভাতঘুমের হাত থেকে রক্ষাও আছে। জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলি—
১) ভাতের পরিমাণ কমান: ভাতে থাকে কার্বোহাইড্রেট যা পরিণত হয় গ্লুকোজে। এই ধাপে প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণে ইনসুলিন যা পরোক্ষ ভাবে ঘুম বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। ফলে ভাতের পরিমাণ কমানো ভীষণ জরুরি। বদলে নিন বেশি পরিমাণে সব্জি। পেট না ভরলে নিতে পারেন স্যালাড
প্রতীকী ছবি
২) কম পরিমাণে লাঞ্চ: দুপুরে ভারী খাবার খেলে ঘুম বা আলস্যের প্রবণতা যায় বেড়ে। তাই একদম কানায় কানায় পেট ভরে খাবেন না, একটু জায়গা রেখে খাবেন।
৩) ব্রাউন রাইস: সাদা ভাতের বদলে ব্রাউন রাইস খান। দেখবেন ঘুম কম পাচ্ছে।
৪) হাঁটা: দুপুরে খাওয়ার পরেই কাজে বসে যাবেন না। আবার কাজে ঢোকার আগে একটু হেঁটে আসুন চট করে। এর ফলে আপনার অক্সিজেনের মাত্রা শরীরে বাড়বে, তাই শক্তিও পাবেন বেশি।
৫) জল: শরীরে জলের ঘাটতি হলে ক্লান্তি আসে চট করে। তাই দিনে ঘন ঘন জল খান।