গঙ্গাবক্ষে ইতিহাস ভ্রমণ।
রবিবারের প্রেম দিবসে শহরবাসীর প্রাপ্তি ফরাসি চুমু। তবে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর থেকে নয়, এই চুমু পাওয়া যাবে ইতিহাসের ঠোঁট থেকে। সঙ্গে উপরি পাওনা ডেনমার্কের আলিঙ্গন।
রাজ্য পরিবহণ নিগমের উদ্যোগে রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাবক্ষে প্রেমের নৌকাযাত্রা। সহায়তায় ‘ড্যানিশ কালচারাল ইনস্টিটিউট’ এবং ‘অক্সফোর্ড বুকস্টোর’। এই যাত্রায় ঘুরে দেখার সুযোগ থাকছে গঙ্গাপারের ঔপনিবেশিক ইতিহাস। সকাল ১০টায় মিলেনিয়াম পার্ক থেকে শুরু হবে এই লঞ্চযাত্রা। দুপুর ১টায় পৌঁছবে শ্রীরামপুর। ঘণ্টা দেড়েকে খাওয়াদাওয়ার পর্ব সেরে রওনা চন্দননগরের উদ্দেশে। বিকেলে চন্দননগর ঘুরে রাত ৯টায় আবার মিলেনিয়াম পার্কেই ফেরা।
তবে শুধু গঙ্গাবক্ষে লঞ্চ চেপে যাওয়া নয়। এই প্রেম-যাত্রায় থাকছে আরও কিছু প্রাপ্তিও। জলযানে থাকছে ডেনমার্ক এবং ফ্রান্সের সঙ্গীত শোনার ব্যবস্থা। একটা বড়সড় পাঠাগার। ইচ্ছেমতো বই পড়া যেতে পারে সেখান থেকে। তার সঙ্গে দেখা যেতে পারে গঙ্গাপারে ইউরোপের উপনিবেশের ইতিহাস নিয়ে বানানো ছবি। থাকছে খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্তও।
‘ড্যানিশ কালচারাল ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান থমাস সেহেস্তেদের কথায়, গঙ্গাপারের এই এলাকাগুলো ঔপনিবেশিক ইতিহাসের সাক্ষী। একমাত্র নৌকায় ঘুরলেই এর প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যেতে পারে।
শুধু ঘোরা নয়, তার সঙ্গে থাকবে গান, খাওয়াদাওয়াও।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ডেনমার্কের উপনিবেশ তৈরি হয় শ্রীরামপুরে। তার ইতিহাসের টুকটাক নিদর্শন আজও শহরের অলিগলিতে ছড়িয়ে আছে। এই নৌকাবিহারের মাঝে দেড় ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হয়েছে সেই ইতিহাস ঘুরে দেখার জন্য। সুযোগ রয়েছে চনন্দনগরের ফরাসি নিদর্শনগুলোও শেষ দুপুরে ঘুরে দেখার। তবে এখন কোভিডের কারণে সব জায়গাই তালাবন্ধ। তাই দর্শকদের হয়তো বাইরে থেকেই দেখে ফিরে যেতে হবে।
‘ভ্যালেনটাইন্স ডে’ উপলক্ষ্যে রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এই যাত্রা। এর পর থেকে সপ্তাহান্তে শনি এবং রবিবার ছাড়বে এই ইতিহাসের স্রোতে ভাসা লঞ্চটি। খরচ ৩৫০ টাকা। উদ্যোক্তাদের আশা, শুধু লন্ডন বা সিঙ্গাপুর কেন, খুব দ্রুতই ইতিহাসের নদীপথে কলকাতার এই নৌকাবিহারও জনপ্রিয় হবে পর্যটকদের মধ্যে।