প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
বিশ্বের ওবেসিটি সমস্যা দূর করতে এমন একটা যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা যা চুম্বকের সাহায্য মুখ বন্ধ করে রাখবে। তরল কোনও খাবার বা পানীয় ছাড়া আর কিছুই খাওয়া যাবে না এই যন্ত্রটি দাঁতে লাগালে!
নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ব্রিটেনের লিড্সের বিজ্ঞানীদের তৈরি এই যন্ত্র যে কোনও দাঁতের চিকিৎসক লাগিয়ে দিতে পারবেন। চুম্বকের তালা লাগিয়ে দেওয়ার মতো আর কি। মোটে ২ মিলিমিটার হাঁ করতে পারবেন এটি পরার পর।
মধ্যযুগে যে সব যন্ত্র দিয়ে অত্যাচার করানো হতো, তার সঙ্গে তুলনা টেনে এই যন্ত্রটি নিয়ে বিস্তর সমালোচনা শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে।
নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, এটি বিশ্বের প্রথম ওজন কমানোর যন্ত্র যা বিশ্বের ওবেসিটির সমস্যা দূর করতে পারে। এই যন্ত্রটি মুখে লাগালে শুধু তরল-ডায়েটই করতে পারবেন মানুষ।
দাঁতে এই যন্ত্র লাগালে শুধু তরল খেয়েই থাকতে হবে। ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়
নিউজিল্যান্ডের সাতজন ওবিস মহিলার উপর এই যন্ত্রটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। ‘ডেল্টালস্লিম ডায়েট কনট্রোল’ নামে এই যন্ত্রটি লাগিয়ে শুরুতে তাঁরা সাত মিলিমিটার পর্যন্ত মুখ খুলতে পারছিলেন। পরে সেটা কমিয়ে ২ মিলিমিটার করা হয়।
ব্রিটিশ ডেন্টাল জার্নালে প্রকাশিত এই রিপোর্ট অনুযায়ী সেই মহিলারা প্রায় ৬.৫ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছিলেন এটি লাগানোর পর। তবে তাঁরা অভিযোগ জানান, যন্ত্রটি ব্যবহার করা বেশ কষ্টদায়ক এবং ঝক্কির। কথা বলতে অসুবিধা হয় এবং সারাক্ষণ একটি মানসিক চাপ অনুভব করেন তাঁরা। তার মধ্যে একজন অবশ্য সব নিয়ম মানেননি। তিনি চকোলেট গলিয়ে খেয়ে ফেলেছিলেন যন্ত্রটি পরার পরও।
নেটমাধ্যমে অনেকে কটাক্ষ করে বলেছেন, পানীয় খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য এই অত্যাচারের প্রয়োজন নেই। তবে ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘চটজলদি ওজন ঝরানো বা কোনও দীর্ঘকালীন সমাধান হিসেবে এই যন্ত্রটি তৈরি করা হয়নি। যাঁরা ওজন বেশি হওয়ার ফলে কোনও রকম অস্ত্রপচার করাতে পারছেন না, তাঁরা যাতে অল্প খরচে মেদ কমাতে পারেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা।’’