প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
লকডাউনে বাড়িতে বসে ওজন একটুও বাড়েনি, এমন মানুষ খুঁজলে হয়তো কমই পাবেন। কয়েক কেজি এদিক-ওদিকে প্রায় সকলের ওজনেই হয়েছে। কিন্তু চিন্তার কোনও কারণ নেই। এই অবাঞ্ছিত বাড়তি কয়েক কেজি আপনি সহজেই ঝরিয়ে ফেলতে পারবেন কয়েকটি অভ্যাস বদলালে। তবে তা আগে বোঝা প্রয়োজন কেন ওজন বাড়ছে।
১। মানসিক চপ, উদ্বেগ বা অবসাদের মতো মানসিক সমস্যা বেড়েছে অতিমারিতে। মানসিক অসুস্থতার কারণে ওজন বেড়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক।
২। ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বাড়ি থেকেই অফিসের কাজ করছেন? অনেক সময় কাজের চাপ বেড়ে গেলে একাই সেটা সামাল দিতে হয়। ভরসা দেওয়ার জন্য সহকর্মীরা মজুত শুধু অনলাইনেই। অনেকে সেই চাপ না নিতে পেরে নানা রকম খাবার খেয়ে ফেলেন। একা কাজ করতে করতে মানুষের মধ্যে একটা একঘেয়েমিও চলে আসে। সেটা কাটাতেও অনেকে সারাক্ষণ কিছু না কিছু খেতে থাকেন।
৩। পাড়ার মাঠ বা পার্কে ঢোকা নিষেধ? সেই কারণে অনেকের সকালের হাঁটা হচ্ছে না। সারাদিনও তেমন কোনও শারীরিক পরিশ্রম হচ্ছে না।
এই বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলার উপায় কী? কয়েকটি ছোট্ট বদল করতে হবে আপনার অভ্যাসে।
১। মাসের বাজার করতে গিয়ে ক্রিম বিস্কুট, চিপ্স, ঝুড়িভাজা বা কেক প্যাস্ট্রি একদম কিনবেন না। ঘরে অস্বাস্থ্যকর খাবার না থাকলে আপনি সেগুলো খেতেও পারবেন না। তার বদলে ফল কিনুন বেশি করে। খিদে পেলে খাবেন।
২। সারা দিনে বেশি করে জল খান। শুধু জল খেতে ভাল না লাগলে, ঘোল, শরবত, ভেষজ চায়ের মতো পানীয় গোটা দিন ধরে খান।
৩। পাড়ার রাস্তায় একটু হাঁটাহাঁটি করুন। যদি মনে হয় আপনার পাড়ায় ভিড় বেশি, তা হলে বাড়ির ছাদে হাঁটাহাঁটি করুন। তা ছাড়াও কিছু সহজ ব্যায়াম, যা বাড়িতেই কোনও সরঞ্জাম ছাড়া করা সম্ভব, প্রত্যেক দিন করুন।
৪। অনেকেই এই সময় রান্না না করে অর্ডার করে দিচ্ছেন। কিন্তু বাড়িতে নিজে রান্না করলে, সে খাবার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হবে। তেল-নুন-চিনি থাকবে মেপে। তাই চেষ্টা করুন বেশির ভাগ দিন নিজেই রান্না করতে।
৫। একটা নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলুন। বাইরে যেতে হচ্ছে না বলে যখন ইচ্ছে ঘুম, যখন ইচ্ছে খাওয়া— করবেন না। ঘুমের সময় ঠিক না থাকলেও ওজন বে়ড়ে যেতে পারে। তাই বাড়িতে থাকলেও একটা নির্দিষ্ট সময় যে কোনও কাজ করার চেষ্টা করুন।