এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী হিন্দি গানের তালে উদ্দাম নাচে মত্ত হরিদ্বারের এক মন্দির প্রাঙ্গণে! ছবি- সংগৃহীত
তরুণ প্রজন্ম ইদানীং রিলের নেশায় মত্ত! নেটমাধ্যমে সামান্য পরিচিতি লাভের আশায় তাঁরা এমন কিছু করে দেখাতে চাইছেন, যা আর পাঁচ জনের থেকে তাঁদের আলাদা করবে। আর সেই ফাঁদে পড়ে কমবয়সিরা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছেন।
সম্প্রতি নেটমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী হিন্দি গানের তালে উদ্দাম নাচে মত্ত হরিদ্বারের এক মন্দির প্রাঙ্গণে! নাচের তালে ছিল অশ্লীল ভঙ্গিমাও। আর সেই নিয়ে নেটমাধ্যমে চলছে জোর বিতর্ক।
মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি এখনও। তবে অভিযোগ পেলে ‘মিশন মর্যাদা’-এর অধীনে নিশ্চয়ই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হরিদ্বারের বিখ্যাত হর কি পৌড়ি ঘাটে ‘বার বার দেখো’ সিনেমার ‘কালা চশমা’ গানের ছন্দেই চলছিল দেদার নাচ!
ধর্মীয় ও পর্যটন স্থানকে যাঁরা অসম্মান করবেন তাঁদের শাস্তি দিতে পৌড়ি থানার পুলিশ ‘মিশন মর্যাদা’ চালু করে গত বছর থেকে। মন্দির চত্বরে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার, হিংসা ছড়ানো, ভক্তদের শান্তিতে হস্তক্ষেপ—কোনও রকম অভিযোগ পেলেই ‘মিশন মর্যাদা’র আওতায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠনের সদস্য ও নেটাগরিকদের একাংশ এই কাজের ঘোর সমালোচনা করেছেন। ভিডিয়ো প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরের ভিতর মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়টিও আবার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। এই প্রসঙ্গে অনেকে আবার দক্ষিণ ভারতের মন্দিরগুলিতে মোবাইল ব্যবহারের কড়াকড়ির বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, দক্ষিণ ভারতে বেশির ভাগ মন্দিরেই ঢোকার আগেই মোবাইল ফোন জমা দিতে হয়। তবে উত্তর ভারতে সেই বিষয় কোনও কড়াকড়ি নেই। অনেকে আবার এ-ও বলছেন, মন্দিরে প্রবেশ করতে হলে সাবেকি পোশাক পরা বাধ্যতামূলক করা উচিত।