মোবাইলে ২০ শতাংশ চার্জ থাকলে তবেই চার্জে বসান। ছবি- সংগৃহীত
দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে মোবাইল ফেটে মৃত্যু হল আট মাসের এক শিশুর। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি সুইচবোর্ডে মোবাইলটি চার্জে বসিয়ে শিশুটির পাশে রেখেছিলেন তার মা। মাস ছয়েক আগে কেনা সেই কি-প্যাড ফোন চার্জে বসানোর সঙ্গে সঙ্গে ফেটে গিয়ে হয় বিপত্তি। ঘটনাটি সামনে আসার পর এক বিখ্যাত টেক-ইউটিউবার দাবি করেন, ঠিক একই ভাবে মোবাইল ফেটে গিয়ে মৃত্যু হয় তার কাকিমার। পাশের টেবিলে ফোন চার্জে বসিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি।
মোবাইল ফেটে মৃত্যুর খবর নতুন নয়। ২০১৬ সালে সামসাঙ্গ গ্যালাক্সি নোট ৭ মডেলটি বন্ধই করে দেওয়া হয় এই কারণের জন্যই।
ঠিক কী কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটে?
ফোন বিস্ফোরণের প্রধান কারণ হল ফোনের ব্যাটারির দুর্বল তাপ পরিবহন ব্যবস্থাপনা। লিথিয়াম-আয়ন হল এমন উপাদান যা বেশির ভাগ ফোনের ব্যাটারিতে ব্যবহার করা হয়। লিথিয়াম-আয়ন মোটামুটি অস্থির যার মানে আপনি যখন এটি চার্জ করছেন, তখন যেন বিদ্যুৎ পরিবহন ব্যবস্থা ঠিক থাকে সে দিক নজর রাখতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনাগুলি ঘটে খারাপ চার্জার ব্যবহারের ফলে। খারাপ চার্জার ব্যবহার করলে ফোনের ব্যাটারিতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়, ফলে বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনাগুলি ঘটে খারাপ চার্জার ব্যবহারের ফলে। ছবি- সংগৃহীত
কী কী করলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব?
১) সোলার প্যানেল ব্যবহার করে ফোন চার্জে বসাবেন না। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুতের প্রবাহমাত্রার উপর কোনও লাগাম থাকে না, ফলে ফোন ভীষণ গরম হয়ে যায়, বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনা বড়ে।
২) কোনও কারণে ফোন ভিজে গেলে যত ক্ষণ পর্যন্ত সেটি পুরোপুরি শুকিয়ে না যায় তাকে চার্জে বসাবেন না।
৩) অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিন ব্যবহারের পর ব্যাটারি ফুলে যায়। এমনটা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারি বদলাতে হবে।
৪) ঘন ঘন ফোন চার্জে বসানো ভাল নয়, মোবাইলে ২০ শতাংশ চার্জ থাকলে তবেই চার্জে বসান। সারা রাত ধরে মোবাইলে চার্জ দেবেন না।
৫) অনেক সময় ফোনের ব্যাটারি লিক করে, পোড়া পোড়া গন্ধ বেরোয়। তখনই সাবধান হন। ফোন বন্ধ করে দিন। প্রয়োজনে ব্যাটারি বদলান।
৬) একটি ফোনের চার্জার দিয়ে অন্য সংস্থার ফোন চার্জ না করাই ভাল। এতে ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।