বইয়ের গন্ধ সহ্য হয় না? ছবি- সংগৃহীত
হোমওয়ার্কের নাম শুনলেই গায়ে জ্বর চলে আসে শিশুদের। আজ পেটে ব্যথা, কাল হাতে ব্যথা অজুহাতের ঝুলি সদাই প্রস্তুত থাকে তাদের কাছে। তবে সম্প্রতি নেটমাধ্যমে এমন একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে যেখানে হোমওয়ার্ক না করার জন্য এক শিশুর আজব অজুহাত শুনে চক্ষু চড়কগাছ নেটাগরিকদের!
চিনের এক ১১ বছর বয়সি ছেলে তার মায়ের কাছে দাবি করে, হোমওয়ার্ক করলেই ওর নাকি অ্যালার্জি হয়। ঠিকই শুনেছেন! খুদের এই আজব অজুহাত ভিডিয়ো করে নেটমাধ্যমে ছাড়লেন মা। আর মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গেল সেই ভিডিয়ো।
ভিডিয়োতে দেখা যায় পড়তে বসে নাকের কাছে কাপড় ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে খুদেটি। হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে যেন এখনই অসুস্থ হয়ে পড়বে সে। মা তাকে জিজ্ঞেস করেন কী হয়েছে তার? জবাবে সে বলে হোমওয়ার্ক করলেই আমার অ্যালার্জি হয়! মা তাকে আবার জিজ্ঞেস করে ঠিক কী কারণে অসুস্থবোধ করছে সে? উত্তর আসে, বইয়ের গন্ধ নাকে এলেই সমস্যা হয় তার।
মজার ছলে ছেলেটির মা বলেন, ‘‘তুমি কি এখন হোমওয়ার্ক করতে পারবে না? কী করলে তোমার কষ্ট কমবে?’’
এই শুনে খুদের কান্না আরও বেড়ে যায়, কিছুতেই তাকে থামানো যায় না। য়ু বলেন, ‘‘চলো, তা হলে তো তোমায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়!’’ তবে হাসপাতালে কিছুতেই যাবে না সে। মা তার কাছে জানতে চায় বিগত পাঁচ বছরে তো এমন কোনও উপসর্গ ছিল না, হঠাৎ হলটা কী? খুদে জানায়, অনেক দিন ধরেই হোমওয়ার্ক করলে ভিতর ভিতর তার কষ্ট হয়। কিন্তু এখন যেন বেশি কষ্ট হচ্ছে।
খুদের মা জানিয়েছেন, এই প্রথম নয়, হোমওয়ার্ক করতে বসলেই এক এক দিন এক এক রকম গল্প বানায় সে। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের কেউ কেউ বলে, এই ছেলে বড় হয়ে দারুণ অভিনেতা হবে। কেউ কেউ আবার ছেলেটির জন্য উদ্বেগও প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘মজার বিষয় মনে হলেও নতুন বইয়ের গন্ধ থেকে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়’!