টিকার শংসাপত্রে এ কার ছবি? ছবি: সংগৃহীত
টিকার শংসাপত্র নিয়ে জটিলতা। তার জেরে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে সমস্যায় পড়তে হল এক ভারতীয় মহিলাকে। নেটমাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন দীপ্তি তামহানে নামের সেই মহিলা। ঠিক কী হয়েছিল সেখানে?
সম্প্রতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে লন্ডনের বিমান ধরছিলেন দীপ্তি। বিমানে ওঠার আগে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কাউন্টারে তাঁর কাছে টিকার শংসাপত্র দেখতে চাওয়া হয়। তার পরে যা হয়, দীপ্তির বয়ানে অনেকটা এই রকম, ‘ডেস্কে বসা মহিলাকে আমরা আমাদের টিকার শংসাপত্র দেখাই। তিনি তারিখ এবং ছবি খুঁটিয়ে দেখেন। তার পরে পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। তাতেই প্রচণ্ড রেগে যান!’
কেন এই রাগ? দীপ্তি লিখেছেন, সেই অফিসার রেগেমেগে বলতে থাকেন, ‘এটা আপনি নন। আপনার ছবির সঙ্গে মিলছে না। আপনি আমায় নকল শংসাপত্র দিচ্ছেন।’ দীপ্তির কথায়, বিমানবন্দরের অফিসাররা অভিযোগ তোলেন, তাঁদের হাতে জাল শংসাপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু বিস্ময়ের শুরু এর পরেই। দীপ্তির কথায়, ‘আমি মেনে নিই, ছবিটা আমার নয়।’ তা হলে দীপ্তির টিকার শংসাপত্রে ছবিটি কার? দীপ্তি লিখেছেন, ‘এর পরে আমি জানাই, ওটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ছবি!’
টিকার শংসাপত্রে ছবি দেখে কেন বিস্মিত হলেন বিমানবন্দরের অফিসার?
নেটমাধ্যমে এই ভারতীয় মহিলার লেখা থেকে জানা গিয়েছে, এর পরে বিমানবন্দরের ওই মহিলা অফিসার তাঁর সহকর্মীদের ডেকে তাঁর শংসাপত্রটি দেখান। সকলেই নাকি বিপুল আনন্দ পান। তাঁরা নাকি এমন জিনিস আগে দেখেননি।
সেই পোস্টের স্ক্রিনশট।
শেষ পর্যন্ত কি দীপ্তির টিকার শংসাপত্র গ্রহণ করেন অফিসার? তাঁর লেখা থেকে জানা গিয়েছে, এ কথা শোনার পরে আর তাঁকে কেউ আটকাননি।
দীপ্তির এই লেখা বিপুল পরিমাণে জনপ্রিয় হয়েছে নেটমাধ্যমে। এক দিনের মধ্যেই প্রায় ১২০০ মানুষ তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। নিজেদের নেটমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন প্রায় ৪০০-র কাছাকাছি মানুষ। কিন্তু তার পরেই দীপ্তি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলটি ‘লক’ করে দেন। ফলে পোস্ট-টি শুধুমাত্র তাঁর বন্ধুতালিকায় থাকা মানুষই দেখতে পাচ্ছেন।