মিশ্র টিকা নিয়ে সতর্কবার্তা হু-র। —প্রতীকী চিত্র।
করোনাকে রুখতে মিশ্র টিকার পক্ষে সওয়াল করছেন বিজ্ঞানীরা। নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করতে জার্মানির চ্যান্সেলর স্বয়ং অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল দু’বার দু’রকমের টিকা নিয়েছেন। কিন্তু এই প্রবণতা ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে এ বার সতর্ক করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। তাঁর মতে, মিশ্র টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা নেই। এই সংক্রান্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি এখনও পর্যন্ত। তাই দু’রকমের টিকা নেওয়ার এই প্রবণতা ভয়ঙ্কার বিপদ ডেকে আনতে পারে।
সোমবার করোনা টিকা নিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিজের মতামত জানান স্বামীনাথন। সেখানেই মিশ্র টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। স্বামীনাথন বলেন, ‘‘বহু মানুষ মিশ্র টিকা নেওয়ার কথা ভাবছেন। এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করছেন আমাদের। জানতে চাইছেন, প্রথম টিকা এক সংস্থার নিয়েছেন, দ্বিতীয় টিকাটি অন্য সংস্থার নিতে পারেন কি না। মিশ্র টিকা নিয়ে কোনও তথ্যপ্রমাণ হাতে নেই আমাদের। তাই এই প্রবণতা বিপদ ডেকে আনতে পারে।’’
মিশ্র টিকা করোনার বিরুদ্ধে কতটা কার্যকরী, তা নিয়ে গোটা বিশ্বেই গবেষণা চলছে। বিশেষজ্ঞদের একাশের মতে, দু’বার দু’রকমের টিকা নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। জার্মানি এবং ইউরোপের একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই দু’বার দু’রকমের টিকা নেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে। ভারতে বর্তমানে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন এবং স্পুটনিক-ভি টিকাকরণে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে আগামী দিনে মিশ্র টিকা ব্যবহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস) প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে মিশ্র টিকা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এ নিয়ে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা প্রয়োজন।