মিষ্টি খাওয়া কমাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে। আবার রাতে ভরপেট বিরিয়ানি খাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মনে হচ্ছে, যেন মিষ্টিজাতীয় কিছু খেলে ভাল হয়। মধ্যরাতে পছন্দের সিরিজ় দেখতে দেখতে চকোলেট কিংবা ক্যারামেল পপকর্ন মুখে দেওয়ার অভ্যাস তো রয়েছেই। সন্তানকে বারণ করলেও নিজেরাই এমন অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। যার ফলে এই ‘চোখের খিদে’ কিন্তু হরমোনের উপরেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা রক্তে শর্করার মাত্রা বিঘ্নিত করে। অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে তা অনুঘটকের মতো কাজ করে। তাই পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হলেও এমন অভ্যাসকে বশে রাখতে পারা জরুরি। কিন্তু বশে রাখতে হবে বললেই তো আর তাকে বশে রাখা যায় না! তার জন্য আগে বুঝতে হবে শরীর কী বলছে। মিষ্টির প্রতি এমন চাহিদা তৈরি হওয়ার নির্দিষ্ট কিছু কারণ থাকে। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও অনেক সময় মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁক বেড়ে যেতে পারে। তবে কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে পারলে এই সমস্যাকে বশে রাখতে পারেন।
১) পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুমোলে তবেই শরীরে বিভিন্ন হরমোনের মধ্যে সমতা বজায় থাকে। লেপটিন নামক হরমোনটি শরীরে কোন খাবার, কতটা প্রয়োজন আর কোনটির প্রয়োজন নেই— তার মধ্যে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে এই হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণ— দু’টিই কমে যায়। ফলে ভাজাভুজি, মিষ্টি খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।
২) স্বাস্থ্যকর খাবার
ভিটামিন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং বিভিন্ন খনিজে ভরপুর খাবার নিয়মিত খেতে হবে। শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছলে তবেই মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। একান্তই যদি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে, সে ক্ষেত্রে ফল খাওয়া যেতে পারে।
মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে নিজেকে বোঝাতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) লোভ সম্বরণ
চাইলে নিজেই নিজের মনোবিদ হয়ে উঠতে পারেন। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে নিজেকে বোঝাতে হবে। দোকানে জিনিস কিনতে গেলে মিষ্টির হাতছানি সচেতন ভাবে এড়িয়ে চলতে হবে। জীবন থেকে মিষ্টি একেবারে বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পরিমিত পরিমাণে মিষ্টি খাওয়াই যায়। তবে রোজ মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস মোটেই ভাল নয়।