মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব গাড়ি চালানোর সময়ও। ছবি: সংগৃহীত
নিজ গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য উবার অটো বুক করেন অভিজিৎ। রাকেশ নামক এক অটোচালক আসেন তাঁকে তাঁর গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য। গাড়িতে উঠেই অভিজিতের নজরে পড়ে অটোচালক একটি ভিডিয়ো দেখতে দেখতে হঠাৎ রুট ম্যাপটায় চোখ বুলিয়ে নিলেন। আবার খানিক ক্ষণ পর অটোচালক সেই বিশেষ ভিডিয়োটি দেখতে শুরু করেন। কৌতূহলবশত অভিজিৎ রাকেশকে জিজ্ঞেস করে বসলেন, এত মন দিয়ে তিনি কী দেখছেন?
রাকেশের জবাব, ‘‘দাদা, এই ইউটিউব চ্যানেলে সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ ও অর্থনীতির বিষয় নানা তথ্য আলোচনা করা হয়।’’
অভিজিৎ রাকেশকে ফের জিজ্ঞেস করেন, তিনি কোনও পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন কি না। রাকেশ বলেন, ‘‘আমি না, আমার মেয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমিও ওকে মাঝে মাঝে পড়াশোনায় সাহায্য করে দিই। মেয়ে যখন বিকেলে লাইব্রেরি থেকে ফেরে তখন আমরা দু’জনে মিলে নানা বিষয়ে চর্চা করি।’’
অভিজিৎ মুথা নামক সেই যাত্রী লিঙ্কডইন-এ সব ঘটনাটি বর্ণনা করে একটি ছবিও শেয়ার করেন। অভিজিতের এই পোস্টটি নিয়ে নেটমাধ্যম জুড়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। কেউ কেউ রাকেশের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। কেউ কেউ আবার আতঙ্কও প্রকাশ করেন। গাড়ি চালাতে চালাতে ভিডিয়ো দেখা নিয়ে বেশ কিছু মানুষ ক্ষোভও উগরে দেন।
এক নেটাগরিক লেখেন, ‘‘গল্পটি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। মেয়ের জন্য বাবার ভালবাসার নজির। তবে আমি জানি না যে, আমাদের ওই ব্যক্তির প্রশংসা করা উচিত, না কি নাগরিক হিসাবে উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত। গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বলার জন্য দুর্ঘটনার উদাহরণ ভূরি ভূরি। আর এই লোকটি গাড়ি চালানোর সময় ইউটিউব দেখছিলেন— এ তো আরও মারাত্মক।’’