সাধারণত কত ধরণের মানুষ দেখা যায় কর্মক্ষেত্রে? প্রতীকী ছবি।
স্কুল-কলেজের পেরিয়ে ভয়ে ভয়ে যখন প্রথম কাজের দুনিয়ায় পা রাখেন, মনে হয় যেন অন্য একটি গ্রহে এসে উপস্থিত হয়েছেন। স্কুল-কলেজের বন্ধুরা না হয় এক রকম। কিন্তু কর্মক্ষেত্রের নতুন মানুষরা আপনাকে কী চোখে দেখবেন, তা নিয়ে মনে একটা অস্বস্তি থেকেই যায়। উল্টো দিকের মানুষগুলি, যাঁদের সঙ্গে সারা ক্ষণ ওঠাবসা করতে হবে, তাঁরা কে কেমন, সে বিষয়ে আগে থেকে ধারণা থাকলে মিশতে বা কথা বলতেও সুবিধে হবে।
সাধারণত কত ধরণের মানুষ দেখা যায় কর্মক্ষেত্রে?
১) সবেতেই সমস্যা
এই বিশেষ প্রকারের মানুষরা যেখানেই যান, সমস্যা শুরু হয়ে যায়। তাঁরা কখনওই নিজের অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্ট হন না। অন্যের ভুল, ত্রুটির দিকেই তাঁদের লক্ষ্য বেশি।
২) রূঢ় প্রকৃতির
এই প্রকৃতির মানুষরা সর্বদা খারাপ ব্যবহার করতেই অভ্যস্ত। এঁরা এমন ভাবে কথা বলেন যে, দোষ তাঁর হলেও উল্টো দিকে থাকা মানুষটি অপরাধবোধে ভোগেন।
৩) পরনিন্দা পরচর্চা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিশেষ ধরনের সহকর্মী পৃথিবীর প্রায় সবপ্রান্তেই বিচরণ করেন। আপনি কী খেলেন, কী পরলেন, কার সঙ্গে কথা বললেন, কার দিকে তাকালেন এ সবই তাঁদের চর্চার বিষয়।
কর্মক্ষেত্রের নতুন মানুষরা আপনাকে কী চোখে দেখবেন, তা নিয়ে মনে একটা অস্বস্তি থেকেই যায়। প্রতীকী ছবি।
৪) শ্রদ্ধাশীল নয়
আরও এক ধরনের মানুষ থাকেন যাঁরা সহকর্মীদের একেবারেই সম্মান দিতে পারেন না। অসম্মানজনক কথা বলা, অপমান করা, কথায় কথায় তাঁদের ছোট করা তাঁদের স্বভাব। সহকর্মী হিসাবে এই প্রকৃতির মানুষদের সঙ্গে নিয়ে চলা কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৫) নালিশ করা
এই ধরনের মানুষরা ছেলেবেলার অভ্যাস ছেড়ে বড় হতে পারেননি। স্কুলে পড়ার সময়ে যেমন পাশে বসা বন্ধুরা টিফিন খেয়ে নিলে শিক্ষকের কাছে গিয়ে নালিশ জানায়, তেমনই অফিসটাকেও তাঁরা স্কুলই মনে করেন।