একটু পেকে গেলেও লঙ্কার গুণ মোটেই কমে না। ছবি: সংগৃহীত
একে কোভিডের আতঙ্ক, তার মধ্যে মরসুম বদল। পরিস্থিতি যেন আমাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তির পরীক্ষা নিচ্ছে! তবে এই সময় মুঠো মুঠো ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার দরকার নেই বা কোন ফল, কোন আনাজ খেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবেন— তা নিয়ে মাথা খাটানোর দরকার নেই। কারণ রান্নাঘরে হাতের কাছেই এমন একটা উপাদান রয়েছে, যা সহজেই পূরণ করে দিতে পারে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অনেকটা চাহিদা।
লঙ্কা। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর। ভিটামিনও প্রচুর। স্রেফ কাঁচা লঙ্কা খেয়েই রোগ প্রতিরোধ কিছুটা বাড়ানো যায়। পুষ্টিবিদ সুবর্ণা রায়চৌধুরীর মতে, লঙ্কা কাঁচা অবস্থায় খেলেই ভিটামিন-সি পাওয়া যাবে পুরোমাত্রায়।
তবে ভাল বলেই বেশি খাওয়া চলবে না। সুবর্ণার পরামর্শ। দিনে গোটা চারেক কাঁচা লঙ্কা খাওয়া যায় অনায়াসে। রান্নাতেও ব্যবহার করা যায়। তবে অতিরিক্ত নয়। লঙ্কায় থাকা ক্যাপাসাইচিন পৌষ্টিকতন্ত্রের যত্ন নেয়। মিউকাস মেমব্রেনে রক্তপ্রবাহের গতি বাড়িয়ে দিয়ে মিউকাসের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ কাঁচা লঙ্কা খেলে সর্দিকাশির সমস্যা কিছুটা কমে। একই সঙ্গে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করতেও এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে।
অনেকের ধারণা, কাঁচা লঙ্কা পেকে গেলে তার গুণ কমে যায়। এটা ভুল। সবুজ লঙ্কায় থাকা ক্যাপসনন্থিন এবং সামান্য পেকে যাওয়া হলদেটে লঙ্কায় থাকা ভায়োল্যাকসন্থিন অত্যন্ত শক্তিশালী ক্যারোটিনয়েড। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে কাজে লাগে এই দুই যৌগ। এমনই বলছেন সুবর্ণা।
কাঁচা লঙ্কার অন্যান্য গুণাগুণ: