গরুর দুধ, নাকি মোষের দুধ— বাছবেন কোনটা?
সুষম আহার বলতে আমরা দুধ বুঝি। পুষ্টির জন্য মানুষের শরীরের যতগুলো উপাদানের প্রয়োজন, তার বেশির ভাগই পাওয়া যায় দুধ থেকে। রোজকার খাবারের তালিকায় থাকা দুধ আমরা পাই মূলত গরু এবং মোষের থেকে। কিন্তু এই দু’ধরনের দুধের মধ্যে কোনটা আপনার জন্য ভাল?
এই দু’রকম দুধের মধ্যে প্রধান পার্থক্য ঘনত্বের। গরুর দুধের তুলনায় মোষের দুধের ঘনত্ব বেশি। সেই কারণেই দই বা পায়েস বানানোর ক্ষেত্রে অনেকেই মোষের দুধ বেশি পছন্দ করেন। তবে এ ছাড়াও রয়েছে কয়েকটি পার্থক্য। সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।
রং: মোষের দুধের রং তুলনায় বেশি সাদা। এতে বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে বলে এই দুধের রঙে সাদা ভাব বেশি। গরুর দুধের রং সেই তুলনায় কিছুটা হলদে।
স্নেহপদার্থ: মোষের দুধের ঘনত্বের বড় কারণ স্নেহপদার্থ। এতে প্রায় ৭-৮ শতাংশ মতো স্নেহপদার্থ থাকে। পাশাপাশি, গরুর দুধে স্নেহপদার্থের পরিমাণ মাত্র ৩-৪ শতাংশ। ফলে মোষের দুধ বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।
সংরক্ষণ কাল: গরুর দুধ ১ থেকে ২ দিন পর্যন্ত রেখে দেওয়া যেতে পারে। তার পরে ফ্রিজে না রাখলে এই দুধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু প্রচণ্ড গরম কাল না হলে মোষের দুধ ফ্রিজে না রেখেও আরও কয়েক দিন সংরক্ষণ করা যায়। মোষের দুধে স্নেহপদার্থের পরিমাণ বেশি বলে সংরক্ষণ কালও কিছুটা বেশি।
কোলেস্টেরল: মোষের দুধে কোলেস্টেরলের পরিমাণ গরুর দুধের তুলনায় কম। তাই যাঁরা কিডনি বা হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা গরুর দুধের বদলে মোষের দুধ বেছে নিতে পারেন। তবে তার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া দরকার।