কয়েক ধরনের পোশাক খুব ভাল ভাবে বানিয়ে ফেলা যায় জড়ির কাজ করা সেই সিল্কের শাড়ি দিয়ে।
বিয়ের বেনারসি পুরনো হয়ে গিয়েছে। বছর কয়েক আগের সেই শাড়ির নকশা এখন আর পছন্দ নয়। শাড়ি হিসেবে পরলে সেকেলে লাগে। অথবা বেনারসি এতই পুরনো হল যে, আর গোটা কাপড়টা ভাল নেই। কিছু কিছু অংশ বাদ দিয়ে নতুন রূপে ব্যবহার করা যায় সেই শাড়িই।
কী বানানো হবে বিয়ের বেনারসি সিল্ক দিয়ে, তা ভাবতে হবে কাপড়ের অবস্থা বুঝে। যদি বেশি দিনের পুরনো না হয়, তবে সেই সিল্কের পুরোটাই ব্যবহার করা যাবে। আবার অনেক বছরের পুরনো শাড়ি হলে কখনও কখনও খানিকটা অংশ নষ্ট হয়ে যায়। তখন তা বাদ দিয়েই করতে হবে পরিকল্পনা।
কয়েক ধরনের পোশাক খুব ভাল ভাবে বানিয়ে ফেলা যায় জড়ির কাজ করা সেই সিল্কের শাড়ি দিয়ে। যেমন—
জ্যাকেট
জ্যাকেট বানাতে বেশ খানিকটা কাপড় প্রয়োজন। কম কাপড় থাকলে হাত কাটা, আর বেশিটা ব্যবহারযোগ্য হলে লম্বা হাতার একটা বেনারসি জ্যাকেট বানিয়ে নেওয়া যেতেই পারে। এক রঙা কুর্তার সঙ্গে পরলে সাজ হবে বেশ জমকাল। পুরো শাড়িটাই যদি ব্যবহার করা সম্ভব হয়, তবে একটা বেনারসি কেপ দারুণ দেখাবে। সামনেটা কাটা গোড়ালি পর্যন্ত ঝুলের, বেশ ঘের দেওয়া এই জ্যাকেট বিয়েবাড়িতে মানানসই।
প্যান্ট
বেনারসি শাড়ি কেটে পশ্চিমী ধাঁচের প্যান্ট বানানোর চল কম। কিন্তু ভাল হাতে সেই শাড়ি পড়লে, বেশ নতুন ধরনের হবে পোশাক। উজ্জ্বল রঙের শাড়ি কেটে প্যান্ট বানালে, সঙ্গে হাল্কা এক রঙা শার্ট বা কুর্তা মানাবে ভাল। নানা রঙের ব্যবহার যদি থাকে বেনারসি শাড়িতে, তবে সঙ্গে একটা সাদা শার্ট পরলেই সাজ হতে পারে সম্পূর্ণ।
ক্রপ টপ
যদি শাড়ির বেশিটাই খারাপ হয়ে গিয়ে থাকে, তবু চিন্তার কিছু নেই। একটা ছোট্ট ক্রপ টপ তো হয়েই যাবে। বেনারসি ক্রপ টপ থাকলে নানা ভাবে তা ব্যবহার করা যায়। যে কোনও ধনের সিল্ক কিংবা শিফনের শাড়ি পরে ফেলা যায় তা দিয়ে। আর স্কার্ট কিংবা পালাজোর সঙ্গেও সেটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরলে সাজে আসতে পারে নতুনত্ব।
এ সব গেল পোশাকের ভাবনা। এ ছাড়াও বেনারসি শাড়ি কেটে ঘর সাজানোর নানা উপকরণও বানিয়ে নেওয়া যায় চটজল্দি। দেওয়ালে ঝোলালে অন্দরসজ্জা পাবে আলাদা মাত্রা।