কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখলে কাচের বোতল হবে ঝকঝকে। ছবি: সংগৃহীত।
অন্দরের সাজ থেকে ঘরের প্রতিটি জিনিসেই থাকবে শৌখিনতার ছাপ। এমনটাই পছন্দ করেন অনেকেই। তাই অনেক শৌখিন বাঙালির বাড়িতে কাচের বোতল দেখতে পাওয়া যায়। বাহারি নকশা করা কাচের বোতল থেকে বারে বারে জল খেতেও ইচ্ছা করে। কাচের বোতল টেবিলে রাখলে যেমন ঘরের শোভা বাড়ে। তেমনি কাচের বোতল ব্যবহার করলে সেগুলির যত্নেও বাড়তি নজর দিতে হবে। তবে প্রতি দিন পরিষ্কার করতে হবে তার কোনও মানে নেই। সপ্তাহে দু’দিন ভাল করে পরিষ্কার করলেই হবে। কাচের বোতল পরিষ্কার করা সহজ নয়। তবে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখলে কাচের বোতল হবে ঝকঝকে।
বোতল পরিষ্কারেও বেকিং সোডার ভূমিকা রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
লেবু এবং নিম জল
লেবু কুচি এবং নিমপাতা একসঙ্গে ফুটিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি বোতলে ভরে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। তার পর ভাল করে ঝাঁকিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বোতলের গায়ে লেগে থাকা যাবতীয় ময়লা এবং দুর্গন্ধ দূর হবে। বোতলে নতুন করে জল ভরার আগে ভাল করে ধুয়েমুছে নিন।
গরম জল এবং তরল সাবান
জলের বোতল পরিষ্কার করার অন্যতম উপায় হল গরম জল ব্যবহার করা। তবে কাচের বোতলে ফুটন্ত গরম জল ঢেলে দেবেন না। ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে তরল সাবান মিশিয়ে নিলে বোতল বেশি ভাল পরিষ্কার হবে। গরম জলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা তরল সাবান এবং নুন মিশিয়ে নিন। বোতল ভাল পরিষ্কার হবে।
বেকিং সোডা
রান্নায় ব্যবহার করা থেকে বোতল পরিষ্কার— সবেতেই বেকিং সোডার ভূমিকা রয়েছে। বেকিং সোডার সঙ্গে লেবুর রস এবং অল্প জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি বোতলে ভরে ২০-২৫ মিনিট রাখুন। ধোয়ার আগে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন। তার পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক বার পরিষ্কার করলে অনেক দিন দুর্গন্ধ হওয়ার ভয় থাকে না।
ভিনিগার এবং সলিউশন
প্রায় প্রত্যেকের হেঁশেলেই ভিনিগার থাকে। দোকান থেকে সলিউশন কিনে এনে ভিনিগারের সঙ্গে মিশিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। ভাল হয় যদি আগের রাতেই এই মিশ্রণটি বোতলে দিয়ে রাখেন। ভিনিগার বোতলের দুর্গন্ধ ময়লা এবং জীবাণু নষ্ট করে। বোতল ব্যবহার আগে গরম জলে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। নয়তো জল থেকে ভিনিগার এবং সলিউশনের গন্ধ বেরোতে পারে।