সকালের খাবার না খাওয়ার অভ্যাসে বাড়ছে মারণরোগ ক্যানসারের ঝুঁকি। ছবি: সংগৃহীত।
শরীর সুস্থ রাখতে সময়ে খাবার খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের খাবার হল সবচেয়ে জরুরি। সারা দিন শরীরের হাল কেমন থাকবে তা নির্ভর করে সকালের খাবারের উপর। তবে ব্যস্ততার কারণে অনেকেই সকালের খাবার খেতে ভুলে যান। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, সকালের খাবার না খাওয়ার অভ্যাসে বাড়ছে মারণরোগ ক্যানসারের ঝুঁকি। চিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা গবেষণায় উঠে এসছে এই তথ্য।
সকালে উপোস করে থেকে ক্যানসার ডেকে আনবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
রাতের খাবার খাওয়ার পর অনেকটা সময় পেট খালি থাকে। সেই জন্য সকালের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাড়াহুড়ো, ব্যস্ততায় সকালের খাবার খেতে ভুলে যান অনেকেই। খেতে খেতে সেই বেলা গড়িয়ে যায়। আগের দিন রাত থেকে বেলা পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে তার প্রভাব পড়ে অন্ত্রের উপর। সেখান থেকেই অন্ত্রের ক্যানসার, লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি বা়ড়ছে।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খাবার খাওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্যে পেট ভরানো নয়। সঠিক সময়ে পরিমাণ মতো খাবার খেলে শরীর ভিতর থেকে ফিট থাকে। ওজন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। সময়মতো না খেলেই বরং ওজন বে়ড়ে যায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, বিপাক হার কমতে থাকে। তাই সুস্থ থাকতে সকালের খাবার তো বটেই দিনের প্রতিটি মিল সময়মতো খেতে হবে। তাহলেই এ়ড়ানো যাবে ক্যানসারের ঝুঁকি।
সকালের খাবার না খাওয়ার অভ্যাসে আর কী কী শারীরিক সমস্যা হতে পারে?
১)সকালের খাবার না খাওয়ার অভ্যাস পরবর্তীকালে বা়ড়াতে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি। স্মৃতিশক্তি লোপ, ভাবনা-চিন্তার অসুবিধা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতার মতো একাধিক সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘ডিমেনশিয়া’ বলে। ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সঠিক সময়ে সকালের খাবার খেতে হবে।
২) দিনের শুরুতে কিছু না খেলে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপও দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে পেটের গন্ডগোল দেখা দিতে পারে।
৩) সকালে খাবার এড়িয়ে গেলে রক্তে চিনির মাত্রা কমেও যেতে পারে। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপের হাত ধরে জন্ম নেয় মাইগ্রেনের মতো সমস্যা।