Maharashtra

স্কুলে এক জন ছাত্র, শিক্ষকের সংখ্যাও এক, ১২ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে পড়াতে আসেন ‘স‍্যর’

শিক্ষক বলতে একজনই। ছাত্রের সংখ্যাও এক। প্রার্থনা সঙ্গীত থেকে বার্ষিক পরীক্ষা, সবই হয় নিয়ম মেনে। সুবিধা রয়েছে মিড-ডে মিলেরও। এ ভাবেই চলছে মহারাষ্ট্রের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:৪৩
Share:

কার্তিককে পড়ানোর জন্য রয়েছেন কিশোর মানকর নামে এক জন শিক্ষক। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

ছাত্রের সংখ্যা এক। গোটা স্কুলে মাস্টারমশাইও মাত্র এক জন। এই পরিস্থিতেই দিব্যি চলছে স্কুল। হচ্ছে পড়াশোনা, এমনকি, পরীক্ষাও। মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ভাবেই চলছে পড়াশোনা।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম গণেশপুর। আয়তনে তো বটেই, জনসংখ্যার বিচারেও ওই এলাকার মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ গ্রাম। গোটা গ্রামে মাত্র ১৫০টি ঘরের বাস। প্রত্যেকটি পরিবারই অর্থনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট পিছিয়ে। গ্রামের এক প্রান্তেই রয়েছে জেলা পরিষদের প্রাথমিক বিদ্যালয়। গ্রামে সাক্ষরতার হারও অনেক কম। গ্রামে একটি জলজ্যান্ত স্কুল থাকা সত্ত্বেও ছাত্র বলতে শুধু ৮ বছরের কার্তিক সেগোরকে। কার্তিক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। শুধু মাত্র তার জন্যেই প্রতি দিন খোলা হয় ক্লাসরুমের দরজা। সকালে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে শুরু হয় স্কুল। তার পর আর পাঁচটা স্কুলের মতোই শুরু হয় ক্লাস।

কার্তিককে পড়ানোর জন্য রয়েছেন কিশোর মানকর নামে এক জন শিক্ষক। অঙ্ক থেকে পরিবেশবিদ্যা— কার্তিককে প্রতিটি বিষয় তিনিই দেখিয়ে দেন। কিশোর রোজ ১২ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসেন। শুধু মাত্র কার্তিককে পড়াবেন বলে। বিগত দু’বছর ধরে এই রুটিন মেনে আসছেন তিনি। কিশোর জানিয়েছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার মতো গ্রামে আর এমন কেউ নেই। কার্তিকই একমাত্র। তাই তাকেই পড়ান তিনি। বছরে দু’বার পরীক্ষাও হয়। তবে এক জন ছাত্র হলেও সরকারি সব রকম সুযোগ-সুবিধা পায় কার্তিক। এমনকি, মিড-ডে মিলও রান্না হয় কার্তিকের জন্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement