লেবুর রসে কোন জিনিস পরিষ্কার করলেই বিপত্তি! —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কলের মুখে জমা ময়লা, বোতলের ময়লা, তামার বোসন-কোসন নিমেষে পরিষ্কার হয়ে যায় পাতিলেবুর রসে। শুধু কি তাই! মাইক্রোওয়েভ অভেন পরিষ্কার করতেও পাতিলেবুর রস ব্যবহার হয়। ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে কয়েক চামচ পাতিলেবুর রসই যথেষ্ট। শরীর ভাল রাখার পাশাপাশি পাতিলেবুর রসে গৃহস্থের বহু কাজই হয়। এই যেমন মাছ ধোয়ার পর মাছের আঁশটে গন্ধ কিংবা আদা-রসুনের গন্ধ দূর করা— হাতে লেবু কচলে নিলেই হল। কিন্তু লেবুর রস দিয়ে বেশ কয়েকটি কাজ করলে কিন্তু বিপত্তি হতে পারে।
মার্বেল ও গ্রানাইট
রান্নাঘরে গ্যাস অভেন রাখার মার্বেল বা গ্রানাইটের মেঝে কিন্তু লেবুর রস দিয়ে পরিষ্কার করতে গেলে সমস্যা হতে পারে। লেবুর রসে থাকে অ্যাসিড। সেই অ্যাসিডের জন্যেই ময়লা থেকে মরচে পরিষ্কার হয়ে যায়। আবার এই অ্যাসিড থাকার জন্যেই উজ্জ্বল পাথরের মেঝেতে তা ব্যবহার করলে সমস্যা হতে পারে। মেঝের ঔজ্জ্বল্য কমতে পারে। এমনকি দাগও হয়ে যেতে পারে। বদলে সাবানজল দিয়ে মেঝে মুছতে পারেন।
কাস্ট আয়রনের পাত্র
এমনিতে লেবুর রসে তামা, রুপোর বাসন ঝকঝকে হয়। তবে কাস্ট আয়রনের কড়াই বা পাত্রে লেবু ঘষলে কিন্তু পাত্রের বিশেষ আস্তরণ উঠে যেতে পারে। বাসনটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাস্ট আয়রনের পাত্র শুধু গরম জল দিয়ে হালকা ঘষে পরিষ্কার করলে ভাল থাকবে।
ছুরি
ছুরি দিয়ে সব্জি কাটার পর তাতে অনেক সময় জীবাণু লেগে থাকে। বিশেষত শাকপাতা কাটার পর। লেবুর রস জীবাণুনাশে কার্যকর হলেও, হাই-কার্বন স্টিলের ছুরি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। লেবুর বদলে হালকা কোনও তরল সাবান দিয়ে রান্নাঘরের ছুরি পরিষ্কার করতে পারেন।
কাঠের জিনিসপত্র
অনেক সময় সব্জি কাটার বোর্ড কাঠের হয়। হাতা-খুন্তিও কাঠের হয়। তবে কাঠের জিনিসে লেবুর রস দিলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বার বার লেবুর রস দিয়ে ধুলে অ্যাসিডের জন্য তাতে ফাটলও ধরতে পারে। কাঠের উপরেও হালকা একটি পরত থাকে। সেগুলি উঠে যেতে পারে। তরল কোনও বাসন মাজার সাবান দিয়ে এই ধরনের জিনিস পরিষ্কার করতে পারেন।
অ্যালুমিনিয়ামের বাসন
অ্যালুমিনিয়ামের বাসনও লেবু দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত নয়। এতে বাসনের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হতে পারে। লেবুর রস দীর্ঘ ক্ষণ অ্যালুমিনিয়ামের বাসনে লাগিয়ে রাখলে ছিদ্রও হতে পারে। বদলে তরল কোনও বাসন মাজার সাবান দিয়ে এই ধরনের বাসন পরিষ্কার করতে পারেন।