সকালের খাবারে সূর্যমুখীর বীজ খেলে কী হবে? —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রকমারি বীজের রকমারি গুণ। কুমড়ো, তিসি, চিয়া, তিল। নানা গুণে ভরপুর। এই তালিকায় রয়েছে আরও একটি বীজ। সূর্যমুখীর বীজ। এই ফুলের সৌন্দর্য যেমন, তেমনই বীজের গুণও। শরীর-স্বাস্থ্য ভাল রাখতে শরীরচর্চার পাশাপাশি সুষম আহার প্রয়োজন। সেই খাদ্য তালিকায় চিরাচরিত খাবারের পাশাপাশি যদি কিছু বীজ রাখা যায়, তাতে আদতে শরীরের ভালই হয়। কিন্তু সূর্যমুখীর বীজ খেলে কি কোনও উপকার হবে?
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
সূর্যমুখীর বীজে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ‘পলি আনস্যাচুরেটেড’ ও ‘মনো আনস্যাচুরেটেড’ ফ্যাটের অন্যতম উৎস এই বীজ। এই ধরনের ফ্যাট শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে সূর্যমুখীর বীজ খেলে হার্ট ভাল থাকে।
ভিটামিন ও খনিজ
ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর সূর্যমুখীর বীজ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। পাশাপাশি ত্বকের জেল্লা বাড়াতে ভিটামিন ই-এর বিশেষ ভূমিকা থাকে। এতে থাকে বি ভিটামিন। ভিটামিন বি-১ (থিয়ামিন), বিপাকহার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি-৬ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
ফাইবার
প্রচুর ফাইবার থাকে সূর্যমুখীর বীজে। ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখতে, হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও পেট ফোলার মতো সমস্যায় বিশেষ কার্যকর।
মন ভাল রাখে
সূর্যমুখী বীজে থাকা ভিটামিন বি ও সেলেনিয়াম শরীরের স্ফূর্তি আনতেও সহায়তা করে।
কখন, কী ভাবে খাবেন?
যে বীজ এত উপকারী, তা খাদ্য তালিকায় রাখা দরকার। কিন্তু কখন, কী ভাবে খাবেন? সকালের খাবারে রাখতে পারেন টক দই, ওট্স মিল। সেই খাবারের উপর সামান্য সূর্যমুখীর বীজ ছড়িয়ে দিলেই হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন আখরোট, পেস্তা, কাঠাদামের সঙ্গেও এই বীজ খেতে পারেন।
সতর্কতা
তবে সূর্যমুখী বীজে যেমন উপকার আছে তেমনই সকলেরই যে তা সহ্য হবে এমনটা নয়। বিশেষত কিডনি, লিভারের সমস্যা থাকলে এই বীজ না খাওয়াই ভাল। যে কোনও নতুন খাবার নিয়মিত খেতে হলে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে খাওয়াই উচিত।