প্রতীকী ছবি।
বৃষ্টির দিনে ভ্যাপসা আবহাওয়ায় চুলের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই শুধু শ্যাম্পু-কন্ডিশনার লাগালেই চলে না। তার উপর আবার সামনেই পুজো। তাই এখন থেকেই চুলের একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তাই অনেকেই এই সময়ে হেয়ার মাস্ক লাগানোর চেষ্টা করেন। তা বাড়িতে তৈরি প্রাকৃতির উপাদানের হেয়ার মাস্ক হোক বা বাজার থেকে কেনা কোনও ভাল ব্র্যান্ডের হেয়ার মাস্কই হোক। স্বাস্থ্য বজায় রেখে চুল আরও মোলায়েম করার জন্য হেয়ার মাস্ক অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সেটা ব্যবহার করার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি না জানা থাকলে চুলের বেশি ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
১। নোংরা চুলে লাগাবেন না
অনেক দিন ধরে হয়তো শ্যাম্পু করা হয়নি। তাতে মাথার তালুতে বেশ ধুলোময়লা জমে গিয়েছে। তার উপরেই যদি হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে নেন, তা হলে কোনও লাভ হবে না। পরিষ্কার মাথায় মাস্ক লাগাতে হবে।
২। কী ধরনের মাস্ক
শুষ্ক চুলে দই মধুর মাস্ক কাজে দেবে। আবার খুশকি থাকলে প্রয়োজন লেবুর রস আর মুলতানি মাটির মাস্ক। কোন কাজের জন্য মাস্ক লাগাচ্ছেন, সেটা বুঝে উপকরণ বেছে নিন। আবার একই ভাবে বাজার থেকে কেনার সময়ে দেখে নিন কোন মাস্ক কোন ধরনের চুলের জন্য কার্যকর।
প্রতীকী ছবি
৩। সমান ভাবে লাগান
মাস্ক লাগানোর পর সেটা সব চুলে যাতে সমান ভাবে ছড়িয়ে যায়,সে দিকে নজর রাখতে হবে। তাই মাস্ক লাগানো হয়ে গেলে একটা মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভাল করে চুল আঁচড়ে নিন। তাহলে গোটা চুলে ভাল করে ছড়িয়ে যাবে।
৪। সপ্তাহে দু’বার
রোজ মাস্ক লাগানোর প্রয়োজন নেই। বরং তাতে চুল অনেক বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়তে পারে। সপ্তাহে দু’দিন মাস্ক লাগানোই যথেষ্ট।
৫। সারা রাত নয়
অনেকে মনে করেন, মাথায় তেল লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিলে চুল বেশি ভাল হবে। তেমনই কেউ কেউ ভাবেন, মাস্ক লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিলে চুল বেশি নরম হবে। আদপে তা নয়। তেল মাসাজ করার কয়েক ঘণ্টা পর যেমন শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। তেমনই মাস্ক লাগনোর ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে পারেন। বেশি ক্ষণ রাখলে বরং চুলের ক্ষতি হতে পারে।