পুরনো গাড়ি কেনার আগে কোন কোন জিনিস পরীক্ষা করে নেবেন। ছবি: ফ্রিপিক।
গাড়ি কিনবেন বলে ভাবছেন? তা সে নতুন গাড়ি না হয়ে, পুরনো গাড়িও হতে পারে। তাতে কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ গাড়িই যদি কেনেন, তা হলে চোখ বন্ধ করে বিক্রেতার কথায় সম্পূর্ণ ভরসা করে কিনে নেবেন না। নিজে কিছু জিনিস যাচাই করে দেখে নেবেন। না হলে হয়তো দাম দিয়ে গাড়ি কেনার পরে আপনাকেই ঠকতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, পুরনো গাড়ি কিনতে হলে কোন কোন জিনিস পরখ করে নিতে হবে।
১) সবচেয়ে আগে দেখতে হবে গাড়ির স্বাস্থ্য কেমন। গাড়ির বাইরের গায়ে কোনও দাগ বা ঘষার চিহ্ন আছে কি না, ভিতরের সিট, স্টিয়ারিং, ড্যাশবোর্ড পরখ করে নিন। টুকটাক দাগ নিয়ে চিন্তা না করাই ভাল। কিন্তু বড় কোনও দাগ থাকলে অবশ্যই তা চিন্তার বিষয়।
২) গাড়ির কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে কি না দেখে নিন। গাড়িটি কবে কেনা হয়েছিল, খুব পুরনো মডেল কি না দেখে নিতে হবে। যদি গাড়িটি কেনার পর থেকে বেশি চালানো না হয়, তা হলে তেমন গাড়ি কিনবেন না।
৩) গাড়িটি কোন কোম্পানির আর কী মডেলের, তা জেনে নিন। বিক্রেতার কাছ থেকে গাড়ির নথিপত্র চেয়ে নিন। অনেক সময়ে দেখা যায়, কয়েকটি মডেলের গাড়ি বাজারে বেশি দিন চলে না। সেই গাড়িগুলি তুলে নেওয়া হয়। পরে খুব কম দামে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ গাড়ি হিসাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই ধরনের গাড়িকে ‘স্ক্র্যাপ’ গাড়ি বলা হয়। ভুলেও এমন গাড়ি কিনবেন না।
৪) গাড়ির ইঞ্জিন কী অবস্থায় আছে, তা অবশ্যই দেখতে হবে। আপনি নিজে কিছু না বুঝলে, গাড়ির মিস্ত্রি ডেকে পরীক্ষা করিয়ে নিন।
৫) গাড়ির সব যন্ত্রপাতির অবস্থা কেমন তা-ও মিস্ত্রিকে দিয়ে যাচাই করিয়ে নিন। না হলে সেইসব যন্ত্রপাতি সারাই করতে করতেই আপনার পকেট ফাঁকা হয়ে যাবে। খুব পুরনো মডেলের গাড়ি হলে তার যন্ত্রপাতি বাজারে পাওয়া যায় না অনেক সময়েই। তাই দেখে নিতে হবে।
৬) গাড়িটির রেকর্ড কেমন, তা জেনে নেওয়া জরুরি। অর্থাৎ গাড়িটি আগে কোনও সময় দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল কিনা তা জানতে হবে। মাইলেজ কেমন দিতে পারছে, তা-ও যাচাই করে নিন।
৭) গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র দেখে নিন। বিমার কাগজও দেখুন। খুব পুরনো গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যায় অনেক সময়েই।
৮) অবশ্যই গাড়িটি চালিয়ে দেখুন। জনবহুল জায়গা, ফাঁকা রাস্তা সব জায়গাতেই গাড়িটি চালিয়ে দেখে নিন। কোনও ত্রুটি থাকলে অবশ্যই নজরে আসবে।