‘অক্সিডাইজ়ড’ গয়নার মধ্যে কী কী বেছে নেবেন। ছবি: ফ্রিপিক।
গয়নার প্রতি বাঙালি মেয়েদের বরাবরের আকর্ষণ। গভীর ভালবাসা বললেও ভুল হবে না। তাই দেখবেন, নিউ মার্কেট বা গড়িয়াহাট, অথবা হাতিবাগানের জনপ্রিয় জাঙ্ক বা ‘অক্সিডাইস্ড’ জুয়েলারির দোকানগুলিতে সবসময়ে ভিড় লেগেই আছে। সোনা বা রুপোর গয়না সবসময়ে পরা যায় না। তাই কুড়ির তরুণী থেকে পঞ্চাশের গৃহবধূ— অনেকেই ঝুঁকছেন জাঙ্ক গয়নার দিকে। অফিসে কর্মরতা মহিলারাও সবসময়ে পরার জন্য এমন গয়নাই বেছে নিচ্ছেন। শাড়ি তো বটেই, সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যায়। নকশা ও রঙেও বৈচিত্র্য আছে, আবার দামও সাধ্যের মধ্যেই। তবে জাঙ্ক গয়না কেনার আগে বেছে কিনতে হবে। এমন গয়না কিনুন যা এই সময়ে বেশি চলছে। আর মাস দু’য়েক পরেই পুজো। তাই জেনে নিন কোন কোন গয়না নিজের বাক্সে গুছিয়ে রাখবেন।
জার্মান সিলভার
সোনার গয়না এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। রূপোর গয়না অনেকেই সে ভাবে পছন্দ করছেন না। অন্য দিকে, সাধ্যের মধ্যে দাম এবং নানা রঙের এবং ডিজাইনের হওয়ায়, জাঙ্ক জুয়েলারি মেয়েদের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে। গলার ভারী হার থেকে হাতের বালা, কানের দুল— জার্মান সিলভারের গয়না সাজকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। সাদা জার্মান ধাতুর তৈরি বিরাট বিরাট হাতের বালা, গলার হাঁসুলি, লকেট, পায়ের নূপুর এখন মেয়েদের বেশি পছন্দের।
আফগানি গয়না
আফগানি গয়না মানেই বেশ জমকালো। বেনারসী বা কাঞ্জিভরমের সঙ্গে অথবা হ্যান্ডলুম, ঘিচা, তসরের সঙ্গে বেশ মানানসই এই গয়না। বিভিন্ন রকম মিশ্র ধাতুর উপরে রঙিন কাচ বা পাথর বসিয়ে তৈরি এই গয়না পরার চলই বেশি। সাধারণ রংবেরঙের পাথর আর মোটিফেই আফগানি গয়নার অভিনবত্ব। তারের জালিতে কাজ করা, বড় কয়েন দিয়ে তৈরি গয়না বিভিন্ন নকশায় পাওয়া যায়। হাতের একটি মাত্র গয়নাই সাজ সম্পূর্ণ করতে যথেষ্ট। হাত জুড়ে একটা বালা বা চওড়া বাহুবন্ধ থাকলেই ভরাট দেখাবে। রঙিন পাথর ও জমকালো এই গয়না বিয়েবাড়ি থেকে যে-কোনও অনুষ্ঠানে পরে ফেলতেই পারেন।
গয়নায় আদিবাসী ছোঁয়া
আদিবাসীদের মাথার কাঁটা এখন মেয়েদের বেশি পছন্দের। এ ছাড়া কাঠ, মাটি, প্লাস্টিক, পুঁতি, পাট এবং বিভিন্ন রকম পাথরের তৈরি বেশ বড় আর রঙিন গয়না তো আছেই। আকারে বড়সড়, আদিবাসী ছোঁয়া আছে, এমন গয়নাতেই মজেছেন মেয়েরা। পোশাকের সঙ্গে মানাসই পুঁতি-বিডসের মালা, ধাতুর তৈরি কোমর বিছে বা বাজুবন্ধ পরতে পারেন। পোড়ামাটির দুল, বাঁশ অথবা ঝিনুক দিয়ে তৈরি হার, কাঠের ক্লিপের পাশাপাশি কড়ি আর পুঁতির মিলমিশে তৈরি গয়না সব পোশাকের সঙ্গেই মানানসই।
অক্সিডাইজ়ড গয়না
অফিস কিংবা বন্ধুবান্ধবদের পার্টি, এইসব জায়গায় এমন গয়না একটু হালকা পরাই ভাল। জাঙ্ক মানেই সবসময় তেমন ভারী হয় না। অক্সিডাইজড ছোট দুল, লেয়ার নেকলেস বা হাতের নানা ধরনের গয়না কিনে রাখলে এই পুজোতে আপনার সাজই হয়ে উঠবে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। অফিসের পোশাক যেমন কুর্তি বা জিনস-শার্টের সঙ্গেও ‘অক্সিডাইজ়ড’ গয়না দারুণ মানানসই। যদি একরঙা পোশাক পরেন তা হলে তার সঙ্গে ‘অক্সিডাইজ়ড’ গয়নার সাজই সেরা। তাই আপনার গয়নার বাক্সে সাজিয়ে রাখুন ‘অক্সিডাইজ়ড’ গলার হার, ছোট পেনডেন্ট বা কানের দুল। ইদানীং এই ধরনের গয়নায় মিনাকারির কাজও করা হচ্ছে, সেগুলো দেখতে যেমন ভাল, তেমন সাজেও আনতে পারে চটক।