— প্রতীকী চিত্র।
নাগরিকত্বের অন্যতম প্রধান পরিচয়পত্র হল পাসপোর্ট। দেশের অভ্যন্তরে এই পরিচয়পত্রটি খুব একটা প্রয়োজন না পড়লেও এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়া যায় না। এক একটি দেশে ভ্রমণের নিয়ম এক এক রকম। আবার কিছু দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট দেখানোর প্রয়োজন পড়লেও ভিসার প্রয়োজন হয় না। আবার কয়েকটি দেশে ঘুরতে গেলে তৎক্ষণাৎ ‘ভিসা-অন-অ্যারাইভ্যাল’-এর সুবিধাও দেওয়া হয়। এই সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয় পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী পাসপোর্ট। এ বছর সেই তালিকায় জাপানকে পিছনে ফেলে শীর্ষস্থানে উঠে এল সিঙ্গাপুরের নাম। ‘ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ‘হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স’।
এর ফলে দেশের নাগরিকেরা কী কী সুবিধা পাবেন?
সিঙ্গাপুরের নাগরিকেরা এ বার থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ২২৭টি দ্রষ্টব্যের মধ্যে ১৯৩টিতে ভিসা ছাড়াই ঘুরতে পারবেন বলে জানিয়েছে ‘হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স’। পাসপোর্টের প্রাপ্ত স্থান অনুযায়ী বিশ্বের কতগুলি জায়গায় ঘুরতে পারবেন তা-ও নির্ধারিত হয়।
সিঙ্গাপুরের পর তালিকার প্রথম দশে আর কোন কোন দেশ রয়েছে?
·টানা পাঁচ বছর জাপান শীর্ষস্থানে থাকার পর ২০২৩ সালে সেই স্থান অধিকার করে ফেলেছে সিঙ্গাপুর।
·দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি, ইটালি এবং স্পেন।
·তৃতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, সাউথ কোরিয়া এবং সুইডেন।
·চতুর্থ স্থানাধিকারী ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং ইংল্যান্ড।
·পঞ্চম স্থানে রয়েছে বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, মাল্টা, নিউ জ়িল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, সুইৎজ়ারল্যান্ড।
·অস্ট্রেলিয়া, হাঙ্গেরি এবং পোল্যান্ড উঠে এসেছে ষষ্ঠ স্থানে।
·সপ্তম স্থানে রয়েছে কানাডা এবং গ্রিস।
·লিথুয়ানিয়া এবং আমেরিকা রয়েছে অষ্টম স্থানে।
·নবম স্থান অধিকার করেছে লাতভিয়া, শ্লোভাকিয়া এবং শ্লোভেনিয়া।
·দশম স্থানে রয়েছে এস্টোনিয়া এবং আইসল্যান্ড।
এই তালিকায় ভারত রয়েছে ৮৫তম স্থানে। ভারতীয় পাসপোর্ট দেখিয়ে মোট ৫৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা যায়।
অর্জিত স্থান অনুযায়ী কোন দেশের নাগরিকেরা বিশ্বের কতগুলি জায়গায় ঘুরতে পারবেন?
জাপান: ১৯৩
সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়া: ১৯২
জার্মানি এবং স্পেন: ১৯০
ফিনল্যান্ড, ইতালি এবং লুক্সেমবার্গ: ১৮৯
অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং সুইডেন: ১৮৮
ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল এবং ব্রিটেন: ১৮৭
বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, নিউ জ়িল্যান্ড, নরওয়ে, সুইৎজ়ারল্যান্ড এবং আমেরিকা: ১৮৬
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, গ্রিস এবং মাল্টা: ১৮৫
হাঙ্গেরি এবং পোল্যান্ড: ১৮৪
লিথুয়ানিয়া এবং স্লোভাকিয়া: ১৮৩