কী ভাবে চশমা যত্নে রাখবেন? ছবি: ফ্রি পিক।
কিছু মানুষের নিত্যসঙ্গী চশমা। কেউ কেউ অবশ্য শখ করেও পরেন। তবে রোদে বাইরে বেরোলে, তাপ ও ধুলো-ধোঁয়া থেকে চোখ বাঁচাতে রোদচশমা পরাটা জরুরি। নিত্যপ্রয়োজনীয় চশমা ও রোদচশমা শুধু পরলেই হল না, তা সঠিক ভাবে পরিষ্কার করাটাও জরুরি। না হলে হাতের ছাপ কাচে পড়ে, ধুলো-ময়লায় কাচ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু, পরিষ্কার করবেন কী ভাবে? যে কোনও কাপড় দিয়ে রগড়ে দিলেই কি চশমার কাচ পরিষ্কার হয়ে যায়?
কোন ভুলে চশমার কাচ নষ্ট হতে পারে?
১. কাজের ফাঁকে চশমার কাচ ঝাপসা মনে হলেই অনেকেই কাপড়ের খুঁট, শার্টের অংশ, পরনের জামা-কাপড় দিয়ে কাচটা ঘষে নেন। এমন অভ্যাস অনেকেরই থাকে। সামান্য ভুলেই কিন্তু নতুন চশমা নষ্ট হতে পারে। শক্ত কাপড় বা ধুলো-ময়লা লেগে থাকা কাপড়ের সঙ্গে কাচের ঘষায় নিমেষে তাতে দাগ পড়ে যেতে পারে। সেই দাগ পরে ঘষাঘষিতে মোটেই উঠবে না।
২. অনেকে আবার মনে করেন, বা়ড়ির কাচ পরিষ্কারের রাসায়নিক দিয়ে চশমার কাচ পরিষ্কার করা যায়। এটাও ঠিক নয়।
৩. কেউ কেউ কাগজের ন্যাপকিন ব্যবহার করে চশমা, রোদচশমার কাচ মুছতে যান। এতেও বিপত্তি হতে পারে।
চশমা পরিষ্কারের সঠিক পদ্ধতি
১.চশমা দু’টি হাত একসঙ্গে ব্যবহার করে খোলা-পরা করা উচিত। না হলে যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে।
২. চশমার কাচ পরিষ্কারের আগে নিজের হাতটিও সাবান দিয়ে ধুয়ে, পরিষ্কার তোয়ালেতে মুছে নিতে হবে।
৩. হালকা গরম জল দিয়ে চশমার কাচ ভাল করে ধুয়ে নিন। গরম জল নয় কিন্তু। এতে চশমা বা রোদচশমার গায়ে লেগে থাকে ধুলো-ময়লা বেরিয়ে যাবে।
৪. হাত ধোয়ার মৃদু কোনও তরল সাবান ব্যবহার করে হালকা ঘষে নিতে হবে চশমার দুই পাশ। নাকে বসে থাকা প্যাডও পরিষ্কার করতে হবে।
৫. চশমা পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিন মাইক্রোফাইবার পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।
৬. সাবানের বদলে চশমা পরিষ্কার নির্দিষ্ট তরলও ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে চশমার কাচে ওই তরল স্প্রে করে মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।