শিরা ফুলে গেলে অবহেলা করা উচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত
অনেকেরই পায়ের শিরা নীল হয়ে ফুলে যায়। পোশাকের তলা দিয়ে পায়ের পেশি বা গোড়ালি দেখা গেলে চোখে পড়ে নীল শিরা। কারও কারও ক্ষেত্রে এত প্রকট হয়ে যায় এই শিরা, তা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু শুধু অস্বস্তিই নয়, এই শিরা ফুলে যাওয়ার সমস্যা পরবর্তী সময়ে বড় সমস্যাও ডেকে আনতে পারে। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলা হয় ‘ভেরিকোজ ভেইনস’। কী দেখে বুঝবেন এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন?
• পায়ের শিরা নীল হয়ে যাচ্ছে। তার সঙ্গে ফুলেও উঠছে।
• পায়ের পেশির ভিতর মাঝে মধ্যেই দপদপ করছে।
• পায়ের ত্বক মাঝে মধ্যেই চুলকাচ্ছে।
• টানা দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকলে পায়ে ব্যথা হচ্ছে।
কেন এই সমস্যা হয়?
আমাদের শিরার মধ্যে বেশ কিছু ভালভ থাকে। সেই ভালভগুলি রক্তস্রোতের অভিমুখ নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু সেই ভালভগুলি ঠিক করে কাজ না করলে রক্তস্রোতের অভিমুখ বদলে যায়। তাতে দূষিত রক্ত শিরার মধ্যে জমা হতে থাকে। শিরার দেওয়ালে চাপ দিয়ে সেগুলিকে কুঁকড়েও দেয়। এর ফলেই শিরা ফুলে ওঠে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কী ভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে?
• এই সমস্যা সারাতে অনেক দিন সময় লাগতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে প্রথমেই। তার পাশাপাশি ব্যায়াম করাটা জরুরি। দৌড়, সাঁতারের মতো শরীরচর্চা এই সমস্যা কমাতে পারে।
• খুব আঁটসাঁট পোশাক পরলে এই সমস্যা বাড়বে। তাই ঢিলা পোশার পরাই ভাল।
• জুতোর ক্ষেত্রেও সচেতন হতে হবে। স্নিকার্স পরতে পারলে ভাল। উঁচু হিলের জুতো কখনও নয়।
• চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পায়ে নিয়মিত মালিশ করলে আরাম হবে।
• খাবারে নুনের পরিমাণ কমাতে হবে। কারণ বেশি মাত্রায় সোডিয়াম শরীরে গেলে শিরা আরও ফুলবে।
• পেঁয়াজ, রসুন বেশি মাত্রায় খেতে পারেন। নিয়মিত লেবু খেলেও ভাল। এগুলিতে ফ্ল্যাভিনয়েডস নামক উপাদান থাকে। সেটি শিরার এই সমস্যা কিছুটা কমায়।