প্রতীকী ছবি।
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম কিংবা পিসিওএস-এর সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। হরমোনের মাত্রার ওঠা-পড়ার কারণে খুব কম বয়স থেকেই বহু মেয়েকে ভুগতে হয় জটিল সমস্যায়। কখনও ওজন বাড়ে, কখনও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সবের প্রভাব গিয়ে পড়ে মনের উপর। অনেকেই সে কারণে ভুগতে থাকেন অবসাদে।
হরমোনের সমস্যা তো আছেই, তার সঙ্গে জীবনযাত্রায় নানা বদলের কারণেই এই অসুখ ছড়িয়ে গিয়েছে সমাজের নানা স্তরে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, শরীরচর্চার অভাব, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম— সবের প্রভাবে পিসিওএসের সমস্যা বাড়ছে। চর্মরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তার সঙ্গে মহিলাদের মধ্যে ত্বকের নানা সমস্যাও বেড়েছে। এবং এর অধিকাংশের পিছনেই রয়েছে পিসিওএস। অথচ অনেক রোগীই সে কথা টেরই পান না। তাই ভিতরে অসুখ বাড়তে থাকে।
ত্বকে কী কী ধরনের সমস্যা বেশি হয়?
১) হারসুটিজম: পুরুষদের মতো মুখে লোম বাড়তে থাকে। তারই সঙ্গে বুক, পেট, থাইয়ের ভিতরের অংশেও লোম বাড়ে।
২) অ্যাকনে ভালগারিস: মুখে ভর্তি ছোট ছোট ব্রণ দেখা দেয়। এই ধরনের ব্রণের মুখ খুব চোখা হয়।
৩) অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপোশিয়া: মাথা থেকে চুল পড়তে থাকে। অনেকটা অংশ টাক পড়ে যাওয়ার মতো সঙ্কট দেখা দেয়।
এ ছাড়াও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, বিভিন্ন অংশে কালো ছোপ পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয় অনেকের ক্ষেত্রেই। এমন হলে মন খারাপ হবেই। কিন্তু পার্লারে গিয়ে ত্বকের রূপ ফেরানোর চেষ্টা করার অনেক আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ রূপচর্চার প্রয়োজন অবশ্যই আছে, তবে এ সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পিসিওএসের চিকিৎসা দরকার।
পিসিওএস থাকলে বাড়িতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি—
১) নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।
২) সময় ধরে খাওয়াদাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
৩) ওজন কমানোর জন্য খাওয়ার ধরনে আনতে হবে বদল।
৪) চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ভিটামিন খেতে হবে।