টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ। ছবি: সংগৃহীত।
আইভিএফ পদ্ধতিতে মাতৃত্বের স্বাদ পেতে চান, কিন্তু খরচের ভয়ে পিছিয়ে আসছেন? আবার ভাল মানের শুক্রাণু মিলবে কি না, সেটাও চিন্তার বিষয়। সে সব চিন্তার অবসান ঘটাবেন টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ।
রাশিয়ার যে সব মহিলা কৃত্রিম পদ্ধতিতে মা হতে চান, তাঁদের বিনামূল্যে শুক্রাণু এবং আইভিএফ চিকিৎসা পদ্ধতির খরচ প্রদান করার কথা ঘোষণা করেছেন ৪০ বছর বয়সি রুশ বংশোদ্ভূত বাস্তবের ‘ভিকি ডোনর’। যদিও সিনেমার পর্দায় আয়ুষ্মান খুরানা অভিনীত ‘ভিকি’ চরিত্রটি রোজগারের জন্য শুক্রাণু দান করত। কিন্তু পাভেলের কাহিনি অনেকটাই আলাদা। পাভেলেরই একটি পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, ১৫ বছর আগে এক বন্ধু দম্পতির অনুরোধে তিনি প্রথম বার শুক্রাণু দান করেছিলেন। তাঁর শুক্রাণুর সাহায্যেই অভিভাবক হওয়ার সাধ পূরণ হয়েছিল ওই দম্পতির। পরে ওই আইভিএফ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অনুরোধে অসংখ্য বার শুক্রাণু দান করেছিলেন ‘রাশিয়ান জাকারবার্গ’।
রাশিয়ার একটি আইভিএফ ক্লিনিক সূত্রে খবর, বিনামূল্যে পাভেলের শুক্রাণু পাওয়ার এই ‘সুবর্ণ সুযোগ’ হাতছাড়া করতে চাইছেন না মহিলারা। ওই চিকিৎসাকেন্দ্রের সিইও সের্গেই ইয়াকোভেঙ্কো বলেন, “শুধু তা-ই নয়! পাভেল জানিয়েছেন, তাঁর শুক্রাণু জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করে যাঁরা গর্ভধারণ করবেন, তাঁদের চিকিৎসার সমস্ত খরচও বহন করবেন তিনি।’’ তবে কিছু শর্তও আছে। যে সব মহিলা এই সুবিধা নিতে চাইছেন, তাঁদের বয়স ৩৭-এর মধ্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়। আইভিএফের মাধ্যমে সন্তানধারণের জন্য শরীর প্রস্তুত কি না, সেই পরীক্ষাতেও পাশ করতে হবে ওই মহিলাদের।
সন্তানের সংখ্যায় মহাভারতের ধৃতরাষ্ট্রকে অনেক দিন আগেই টেক্কা দিয়েছেন পাভেল। ১২টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর ঔরসজাত ‘বীজ’। দাতার পরিচয় কোনও পরিবারকে দেওয়ার নিয়ম নেই। ফলে তাঁর শুক্রাণু ব্যবহারকারীদের কাছে এখনও অজ্ঞাতনামাই পাভেল। তবে পাভেল চান, আগামী দিনে ওই ক্লিনিক তাঁর ডিএনএ পরিচয় প্রকাশ্যে আনুক। এই ভাবে তাঁর সকল ঔরসজাত সন্তান একে-অপরের সঙ্গে হয়তো কোনও সময়ে যোগাযোগ করে উঠতে পারবেন, আশা পাভেলের।