বাসি ডাল দিয়েই তৈরি হোক সুস্বাদু খাবার। ছবি: সংগৃহীত।
যতই মাছ, মাংস, কালিয়া, পোলাও হোক, বাঙালি বাড়িতে ডাল হবেই। প্রথম পাতে ডালের সঙ্গে ঝুরি আলু ভাজা থাকলে, আর কিছু না হলেও চলে। ফলে মুগ, মুসুর কিংবা মটর, রোজ ডাল না হলে চলে না। অনেক সময় আবার খানিকটা ডাল বেঁচেও যায়। বাসি খাবার বলে ইচ্ছে না থাকলেও তা ফেলে দিতে হয়। তবে ফেলে না দিয়ে বাসি ডাল দিয়েই বরং বানিয়ে নিতে পারেন নতুন কিছু খাবার।
ডাল ভর্তা
ভর্তা খেতে অনেকেই ভীষণ পছন্দ করেন। চিকেন ভর্তা তো খাওয়াই হয়ই। তবে বাসি ডাল দিয়েও কিন্তু চটজলদি বানিয়ে নিতে পারেন ভর্তা। পেঁয়াজকুচি, রসুন, লাল লঙ্কা এবং ধনেপাতা ডালের সঙ্গে কষিয়ে নিলেই তৈরি ভর্তা। উপর থেকে অল্প সর্ষের তেল ছড়িয়ে নিলে গরম ভাতে জমে যাবে।
ডাল পরোটা
শীতের সকালে একটু মুখরোচক জলখাবার মন্দ লাগে না। ফ্রিজে যদি আগের দিনের বেঁচে যাওয়া ডাল থাকে, তাহলে সেটি দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন ডাল পরোটা। ডাল শুকিয়ে নিয়ে কাঁচালঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি, পেঁয়াজকুচি দিয়ে একসঙ্গে মেখে পরোটা আকারে গড়ে নিন। তার পর তেলে ভেজে নিলেই তৈরি ডাল পরোটা। আচারের সঙ্গে বেশ খেতে লাগবে।
ডাল কবাব
বাসি ডাল দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন চমৎকার স্বাদের কবার। ডাল শুকিয়ে তার সঙ্গে ধনেপাতা কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, আদা কুচি, অল্প ময়দা মিশিয়ে কবাবের আকারে করে ডোবা তেলে ভেজে নিন। দারুণ খেতে লাগবে।
স্বাদ বদল করতে বাসি ডাল দিয়ে বানাতে পারেন চাটনি। ছবি: সংগৃহীত।
ডাল চাটনি
শীতকালে টম্যাটোর চাটনি তো মাঝেমাঝেই খাওয়া হয়। একটু স্বাদ বদল করতে বাসি ডাল দিয়ে বানাতে পারেন চাটনি। বাসি ডালের সঙ্গে মশলা এবং নারকেল কোরা দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিলেই তৈরি ডাল চাটনি। রুটি অথবা দোসার সঙ্গে বেশ ভাললাগবে।