বাবা সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনার অভিযোগে সুমিত দিনকর বাঘ নামে আরও এক জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার নাগপুর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, ওই যুবক শুটার গুরনেল সিংহের ভাই নরেশকুমারকে টাকা পাঠিয়েছিলেন। শুধু তাঁকে একা নয়, সিদ্দিকি-খুনে ধৃত রুপেশ মহল, হরিশকুমারদেরও আর্থিক সাহায্য করেছিলেন সুমিত! সেই টাকাই খুনের কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে সন্দেহ পুলিশের।
মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখার আধিকারিকেরা শুক্রবার নাগপুরের অকোলা থেকে গ্রেফতার করেন বছর ছাব্বিশের সুমিতকে। সেখানেই বাড়ি তাঁর। অভিযুক্তকে মুম্বইয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর তদন্তকারীদের সূত্রে। ধৃতদের জেরা করেই সুমিতের নাম জানা গিয়েছে। ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করেছিলেন সুমিত। সেই কারণে নতুন একটি সিমকার্ডও ব্যবহার করেছিলেন, তদন্তে উঠে এসেছে এমন তথ্যও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন সিমকার্ডটি সলমন ভোরা নামে এক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত। পুলিশ আগেই সিদ্দিকি-খুনের ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।
তদন্তকারী এক অফিসার জানান, খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত শুভম লোনকারের নির্দেশেই টাকা লেনদেনের কাজ হয়েছিল। তিনিই সুমিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর নির্দেশেই টাকা অনলাইনের মাধ্যমে শুটার এবং অন্য অভিযুক্তের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন সুমিত।
গত ১২ নভেম্বর বান্দ্রাতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন সিদ্দিকি। তাঁর খুনের নেপথ্যে লরেন্স বিশ্নোই গ্যাংয়ের যোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সিদ্দিকিকে খুন করতে বড় ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এই ঘটনায় অনেকে জড়িত বলে দাবি পুলিশের। কাউকে অস্ত্র সংগ্রহ করতে, কাউকে আবার বাইকের ব্যবস্থা করতে, আবার কাউকে টাকা লেনদেনের জন্য খুনের পরিকল্পনায় জোড়া হয়েছিল। পুলিশ একে একে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করছে। তবে এখনও পর্যন্ত ঘটনার দুই মূল অভিযুক্ত শুভম এবং জ়িশান আখতার অধরা।