শীতকালে কোন খাবারগুলি খাওয়া নিষেধ ডায়াবেটিকদের? ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে। তাই শীতে ডায়াবেটিকদের বাড়তি সাবধানে থাকা জরুরি। শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে এমন কোনও খাবার এই মরসুমে বেশি না খাওয়াই শ্রেয়। মিষ্টি, ভাজাভুজি যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। বরং সব্জি, ফল বেশি করে খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। শাকসব্জি, ফল শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ডায়াবেটিকদের সুস্থ থাকতে শাকসব্জি, ফল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। তবে কিছু সব্জি এবং ফল ডায়াবিটিস শীতকালে থাকলে না খাওয়াই উচিত। সে ক্ষেত্রে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে।
রাঙা আলু
শীতকাল মানেই রাঙা আলুর পুলি। শুক্তোতেও শীতকালীন অন্যান্য সব্জির সঙ্গে রাঙা আলুও থাকে। তবে ডায়াবেটিকদের রাঙা আলু খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। রাঙা আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ। শর্করা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে রাঙা আলু খেলে। তবে খেলেও এক টুকরোর বেশি নয়।
কর্ন
শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম কর্নের স্যুপ খেতে মন্দ লাগে না। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে কর্ন এড়িয়ে চললেই ভাল। কর্নে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ এবং কার্বোহাইড্রেট। ফলে ডায়াবেটিকদের কর্ন না খাওয়াই শ্রেয়।
মিষ্টি জাতীয় ফল
কলা, তরমুজে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। শীতকালে এই ফলগুলি ডায়াবেটিকদের না খাওয়াই উচিত। শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এই ফলগুলিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হওয়ায় ডায়াবিটিস থাকলে এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
কার্বোহাইড্রেট আছে এমন খাবার ডায়াবেটিকদের এড়িয়ে চলা উচিত। ছবি: সংগৃহীত।
কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ খাবার
কার্বোহাইড্রেট আছে এমন খাবার ডায়াবেটিকদের এড়িয়ে চলা উচিত। ডায়াবিটিস থাকলে কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। কারণ কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
বাদাম
‘আমেরিকান ডায়াবিটিস অ্যাসোসিয়েশন’-এর একটি গবেষণা জানাচ্ছে, ড্রাই ফ্রুটস ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী। তবে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। অত্যধিক পরিমাণে ড্রাই ফ্রুটস খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।