রোজ কড়াইশুঁটি খেলে কী হয়? ছবি: সংগৃহীত।
কড়াইশুঁটি ছাড়া শীতকাল অসম্পূর্ণ। খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে শীতের অন্যতম আকর্ষণ হল কড়াইশুঁটির কচুরি। শীতের সকালে কড়াইশুঁটির কচুরির সঙ্গে কষা আলুর দম অনেকেরই প্রিয়। আবার কনকনে শীতের রাতে কড়াইশুঁটি দেওয়া খিচুড়ির স্বাদই আলাদা। ফুলকপি, আলু দিয়ে মাছের ঝোল, ডিম কষা— বাঙালি বাড়িতে শীতকালে প্রায় সব রান্নাতেই কড়াইশুঁটি দেওয়া হয়। আবার বিকালে মুড়ির সঙ্গেও থাকা কচি কচি, সবুজ কড়াইশুঁটি। এমনিতে কড়াইশুঁটি বেশ স্বাস্থ্যকর। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় শরীর থেকে ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ বাইরে বার করে দেয়। এত কিছু গুণ থাকা সত্ত্বেও রোজের পাতে কড়াইশুঁটি রাখতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদরা। রোজ রোজ কড়াইশুঁটি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। নিয়মিত কড়াইশুঁটি খেলে কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন?
কিডনির সমস্যা
কড়াইশুঁটিতে প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। শরীরের জন্য ভাল হলেও অত্যধিক প্রোটিন কিডনিতে প্রভাব ফেলে। প্রোটিন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির জন্য ভাল নয়। তাই দেদার কড়াইশুঁটি খেলে সমস্যা হতে পারে। কিডনির সমস্যা তৈরি করা ছাড়াও কড়াইশুঁটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই খাওয়ার আগে পরিমাণ নিয়ে সাবধান হওয়া জরুরি।
শরীরে প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি
কড়াইশুঁটিতে উপকারী উপাদানের অভাব নেই। পাশাপাশি, কড়াইশুঁটিতে রয়েছে ফাইটিক অ্যাসিড। যা স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলি শোষণ করে নেয়। এই অ্যাসিড শরীর থেকে ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রনের মতো উপাদানগুলি শোষণ করে নেয়। ফলে প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি হয় শরীরে। তার ফলে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা যায়।
সব রান্নায় কড়াইশুঁটি থাকলে গ্যাস-অম্বল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
গ্যাস-অম্বল
সব রান্নায় কড়াইশুঁটি থাকলে গ্যাস-অম্বল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সবুজ কড়াইশুঁটিতে ‘লেকটিন’ এবং ‘ফাইটিক’ নামক উপাদান থাকে। যেগুলির প্রভাবে গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে কড়াইশুঁটিতে লেকটিনের পরিমাণ যে অনেক বেশি, তা নয়। তবে বেশি পরিমাণে কড়াইশুঁটি খেলে সমস্যা হতে পারে। এক দিনে এক ভাগের তিন ভাগ মটরশুঁটি খেতে পারেন। তার বেশি নয়।