আইপিএলের ট্রফি। — ফাইল চিত্র।
রবিবার শুরু আইপিএলের নিলাম। তার আগে বিপদে পড়লেন দুই ক্রিকেটার। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কারণে তাঁদের নির্বাসিত করে দিল বোর্ড। সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন আরও তিন ক্রিকেটার। নিলামের আগে সব দলকে চিঠি পাঠিয়ে এ কথা জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
কেকেআরের প্রাক্তন ক্রিকেটার মণীশ পাণ্ডেকে বোলিং থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে। কর্ণাটকের আর এক ক্রিকেটার সৃজিত কৃষ্ণনেরও বল করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দু’জনেই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ছুড়ে বল করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ছাড়া দীপক হুডা, সৌরভ দুবে এবং কেসি কারিয়াপ্পার বোলিং অ্যাকশনকে সন্দেহজনক তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে তাঁদের নির্বাসিত করা হয়নি। আইপিএলের নিলামের মাত্র দু’দিন আগে এই ঘটনায় অনেকেই অবাক।
মণীশ কেকেআরের হয়ে আইপিএল জিতেছেন। গত মরসুমেও ছোট নিলামে কেকেআর কিনেছিল তাঁকে। একাধিক ম্যাচে পরের দিকে নেমে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন মণীশ। তবে দল তাঁকে রাখেনি।
অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে নিয়ে নিলামের টেবিলে কাড়াকাড়ি হতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সম্ভাবনা এখন অনেকটাই কমেছে। বোর্ডের নির্বাসনের কারণে মণীশকে কোনও দল কিনলেও বোলিং করাতে পারবে না। ফলে তাঁর দর অনেকটাই কমতে পারে। একই জিনিস দেখা যেতে পারে দীপকের ক্ষেত্রেও, যিনি গত তিন মরসুমে লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলেছেন।
এ দিকে, শুক্রবারই ভারতীয় বোর্ড জানিয়েছে আগামী বছর আইপিএল শুরু ১৪ মার্চ থেকে। নিলামের দু’দিন আগে ঘোষিত আইপিএল শুরুর দিন। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ফাইনালের দিনও। শুধু আগামী বছরের নয়, ২০২৭ পর্যন্ত আইপিএলের শুরু এবং শেষের দিন জানিয়ে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আগামী বছর আইপিএলের ফাইনাল হবে ২৫ মে।
এর আগে কখনও তিন বছরের আইপিএলের দিন একসঙ্গে ঘোষণা করেনি বোর্ড। ২০২৫ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই দিন ঘোষণার কোনও কারণ যদিও কিছু জানায়নি তারা। আগামী মাসেই জয় শাহ আইসিসির চেয়ারম্যান পদে বসবেন। অর্থাৎ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব হিসাবে আর মাত্র কয়েক দিন রয়েছেন জয়। তার আগে আগামী তিন বছরের আইপিএলের দিন ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০২৬ সালে আইপিএল শুরু হবে ১৫ মার্চ থেকে। ফাইনালে ৩১ মে। ২০২৭ সালে ১৪ মার্চ থেকে শুরু হবে আইপিএল। ফাইনাল হবে ৩০ মে। প্রতি বছরই ফাইনালগুলি রবিবার দেখে রাখা হয়েছে। আগামী তিন বছরের জন্য আইপিএলের দিন ঘোষণা করে দেওয়ায় আন্তর্জাতিক সিরিজ়গুলিও সেই ভাবে রাখা যাবে। কোনও ক্রিকেটারের আইপিএল খেলতে যাতে অসুবিধা না হয় সেই কারণে বোর্ড এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।