ঘর সাজার নানা রঙে
বসন্ত আসুক ঘরেও। যাতে শীতের আড়ষ্ট ভাবটা কেটে যায় চারপাশ থেকে।
কিন্তু তা কী ভাবে আনা যায়? ঘরের ভিতরে তো আর ফুলের টব বসানো যায় না। এমনকি, ঘরের মধ্যে রোজ রোজ ফুল সাজানোও সম্ভব নয়। আর তা ছাড়া, কতগুলো কোণেই বা ফুল সাজানো যায়? তবে কী করা যাবে? বদলে ফেলা হবে কি ঘরের দেওয়ালের রং? তা কি সহজ কথা নাকি? মরসুমের সঙ্গে মানানসই ওয়াল পেপারে দেওয়াল মুড়ে ফেলাও কম কঠিন কাজ নয়।
তবে বসন্ত আসবে কী ভাবে ঘরে? উত্তরটা সহজ। কয়েকটা পর্দাই যথেষ্ট। বসন্ত উৎসবের আগেই বদলে যাক না ঘরের পর্দাগুলো। তা হলেই যে অর্ধেকটা ঘর পছন্দের রঙে মুড়ে যাবে।
কেমন হবে সেই পর্দা?
এ সময়টা নতুন ফুলে ভরে থাকার। ঘরের সাজের মিল থাকা দরকার চারপাশের সঙ্গে। ঘরের ভিতরে ফুল গাছ না বসানো যাক, পর্দায় তো কয়েকটা ফুল থাকতেই পারে। পর্দার উপরে সুতো দিয়ে ফুলের কাজ হোক বা ছাপা, এ সময়ে সবটাই মানানসই।
অন্য ভাবনাও ভাবা যায়। না-ই বা থাকল ফুল। কিন্তু বসন্তের রং তো আসতেই পারে পর্দায়। এক রঙা পর্দার ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া যায় বাসন্তী কিংবা কাঁচা হলুদ। এ সময়টা পলাশের। ঘরের দেওয়াল হাল্কা রঙের হলে, মানানসই হতে পারে পলাশ ফুলের মতো লাল রঙের পর্দাও। এই কাজটা কঠিন নয়। একটু খুঁজলেই এ সব রঙে সুতির পর্দা পাওয়া যাবে। আর অল্প সময় ব্যয় করেই বসন্ত ফুটে উঠবে ঘরে।
একটা বছর এমন করে দেখা যাক না, দোলের আগেই মন ভাল করে দেয় কিনা ঘরের সাজ!