Sabyasachi Mukherjee

বৈচিত্রের মাঝে ঐক্যের সুর, গ্রীষ্ম-সাজে সব্যসাচীর নয়া চমক

গত এক মাস ধরেই নিজেদের বসন্ত-গ্রীষ্মের পশরার প্রদর্শন শুরু করেছেন দেশ-বিদেশের ফ্যাশন ডিজাইনারেরা। এ বছরটা অন্য রকম। বড়সড় ফ্যাশন শো প্রায় নেই। বেশিটাই হচ্ছে নেটমাধ্যমে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২১ ১৬:৩৫
Share:

সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়।

গত এক মাস ধরেই নিজেদের বসন্ত-গ্রীষ্মের পশরার প্রদর্শন শুরু করেছেন দেশ-বিদেশের ফ্যাশন ডিজাইনারেরা। এ বছরটা অন্য রকম। বড়সড় ফ্যাশন শো প্রায় নেই। বেশিটাই হচ্ছে নেটমাধ্যমে। আর তার দৌলতেই ফ্যাশন ভিডিয়োয় কে কত এগিয়ে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ফ্যাশন জগতের সেই হইচইয়ে এ বার পারদ চড়ালেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

দিন কয়েক আগে সব্যসাচীর পোশাকে দেখা গিয়েছিল ডিজাইনার মাসাবা গুপ্তকে। একটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের জন্য তিনি সেজেছিলেন চমকদার লেহঙ্গায়। অনুরাগীরা সেই থেকে অপেক্ষা করছিলেন ২০২১-এর বসন্ত-গ্রীষ্মের পশরার ধাঁচটা মাসাবার সাজের মতোই কি না। অবশেষে প্রকাশ পেল সব্যসাচীর ভিডিয়ো। না, তাতে মাসাবা নেই। তবে ভাবনা যে ভুল ছিল না অনুরাগীদের, তাও প্রকাশ পেয়েছে সেই কাজে। মাসাবার সাজের সঙ্গে রয়েছে তো মিল। লহেঙ্গা-চোলির ধরন যেন খানিকটা এক রকম। কারণ, এ মরসুমে সেটাই সব্যসাচীর পোশাকের ধারা।

Advertisement

তবে সব্যসাচীর সব কাজের মতো এ বছরের গ্রীষ্ম-বসন্তের বিয়ের সাজেও রয়েছে নতুননত্ব। ডিজাইনারের ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত সেই ভিডিয়োয় দেখা গেল, বিভিন্ন অঞ্চলের জড়ির কাজ এবং ছাপা। প্রত্যেক প্রদেশের শিল্পকে আলাদা ভাবে চিহ্নিতও করে দেওয়া হয়েছে ভিডিয়োর শেষে। গত কিছু দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে গতে বাঁধা মডেলের ধারণার থেকে বেড়িয়ে এসেছেন সব্যসাচী। এই ভিডিয়োও দেখাল নানা ধরনের চেহারার মানুষ। নিজের এ বারের কাজ দেখানোর আগে সে কথা লিখেও দিলেন ডিজাইনার। উল্লেখ করলেন, যে ভারতকে তিনি চেনেন, সেখানে অনেক ধরনের মানুষ আছেন। এবং সকলকে নিয়েই চলে এই দেশ। বহু সংস্কৃতির মিশেল এখানে। সকলে মিলে আনন্দে থাকে।

যে রঙিন, বহুজাতিক ভারতকে তিনি ভালবাসেন, নানা সাজে সেই দেশের মানুষকে আবার উদ্‌যাপন করলেন সব্যসাচী। সে সব রঙে ঔজ্জ্বল্য আনল আবহসঙ্গীত হিসেবে চলা ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়...’ !

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement