বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের ফুটবলার কিংবা কোচ মাঠের বাইরে জড়িয়ে পড়েছেন নানা কেলেঙ্কারিতে। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপে যেমন ফুটবল থাকে, তেমন মাঝেমধ্যেই শোনা যায় হরেক রকম কেলেঙ্কারির কথা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের ফুটবলার কিংবা কোচ মাঠের বাইরে জড়িয়ে পড়েছেন কত কেচ্ছায়। কেউ বিতর্ক কাটিয়ে ফিরে এসেছেন মাঠে, কেউ আবার ফিরতে পারেননি। রইল তেমনই কিছু বিতর্কিত ঘটনার কথা।
১। চেক প্রজাতন্ত্র
২০১০ সালে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রের কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে। কোচ পিটার রাদা-সহ ৬ খেলোয়াড়ের বেশ কিছু বিতর্কিত ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে। অভিযোগ ওঠে, স্লোভাকিয়ার সঙ্গে একটি যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর তাঁরা যৌনকর্মীদের সঙ্গে রাত কাটাতে যান।
২। ফ্রান্স
২০১০ সালেই বিতর্কে জড়ান ফরাসি তারকা ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি ও করিম বেঞ্জিমা ও সিডনি গভলৌ। ৩ তারকা জড়িয়ে পড়েন যৌন কেলেঙ্কারিতে। চ্যাম্প এলিসেসে একটি নৈশক্লাবে গিয়ে তিন খেলোয়াড় যৌনতায় মত্ত হন বলে ওঠে অভিযোগ। রিবেরি ও বেঞ্জিমা যাঁদের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হন, তাঁদের মধ্যে এক নাবালিকা ছিলেন বলেও ওঠে অভিযোগ। দুই তারকার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়।
২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে মেক্সিকো দলের খেলোয়াড়রা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। —ফাইল চিত্র
৩। আমেরিকা
১৯৮৮ বিশ্বকাপের আগে আমেরিকার খেলোয়াড় জন হারকেসকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেন কোচ স্টিভ স্যাম্পসন। শোনা যায়, আর এক সতীর্থ এরিক ওয়াইনাল্ডার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বিশ্বকাপের দলেও জায়গা হয়নি জন হারকেসের।
৪। মেক্সিকো
২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে মেক্সিকো দলের খেলোয়াড়রা অন্তত তিরিশ জন যৌনকর্মীর সঙ্গে গণমিলনে অংশ নেন। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। কেউ কেউ বলেন বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে বিদায়ী পার্টি দিয়েছিলেন মেক্সিকোর খেলোয়াড়রা। মেক্সিকোর ফুটবল অধিকারিকরা জানান, কোনও খেলোয়াড় তাঁদের ব্যক্তিগত সময়ে কী করবেন, তা বলে দিতে পারে না ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। কোনও রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ফুটবলারদের বিরুদ্ধে। সেই বিশ্বকাপে তেকাঠির নীচে চমকে দেওয়া গোলরক্ষক ওচোয়াও ওই পার্টিতে হাজির ছিলেন বলে শোনা যায়।