Essential tips

জীবন এখন স্ট্রেসময়! কী ভাবে মিলবে একটু সুরাহা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইগ্রেনের মতো রোগের অন্যতম কারণ হচ্ছে স্ট্রেস। এর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া গেলে স্ট্রেসের সঙ্গে লড়াইটা বজায় রাখতেই হবে এবং তা কমানোর একটা না একটা রাস্তাও খুঁজে বের করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:০০
Share:

ছবি: শাটারস্টক।

অফিস থেকে বাড়ি, সব জায়গায় কম-বেশি রয়েছে কাজের চাপ। অফিসে বসের ধমক, বাড়িতে রোজকার ঘরোয়া কাজ, জীবন যেন ষোলো আনাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আর তা যখন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে ওঠেতখনই দেখা দেয় রোজের জীবনে নানা সমস্যা। আমরা বেশি ঝগড়া করি, অনিদ্রায় ভুগি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি, ফলে ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হরমোনেও দেখা দিচ্ছে নানা সমস্যা।

Advertisement

আমাদের জীবনে স্ট্রেস যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইগ্রেনের মতো রোগের অন্যতম কারণ হচ্ছে স্ট্রেস। এর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া গেলে স্ট্রেসের সঙ্গে লড়াইটা বজায় রাখতেই হবে এবং তা কমানোর একটা না একটা রাস্তাও খুঁজে বের করতে হবে। খুব সহজ কিছু পথের হদিশ রইল আপনাদের জন্য—

কোন স্ট্রেস হচ্ছে? সেটা খুঁজে বের করুন:

Advertisement

অফিসে বসের সঙ্গে রোজকার ঝামেলা, মতের অমিল বা চাকরির প্রতি অনিচ্ছা অথবা প্রেমিকের সঙ্গে ব্রেকআপ, যার ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারছেন না… এ ধরনের সমস্যাতেই আপনি ভুগছেন? তবে স্ট্রেসের কারণটাকে এড়িয়ে যাবেন না, সত্যিটাকে স্বীকার করে তাকে দূর করার উপায় খুঁজে বের করুন। নিজের মধ্যে অনুভূতিগুলোকে আটকে না রেখে, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আলোচনা করুন, নিজের কথা বলে মনকে হালকা করুন।

আরও পড়ুন: একটু যত্নই হতে পারে চুলের সব সমস্যার দাওয়াই!

স্ট্রেস থেকে হতে পারে মাইগ্রেনের

ঘরোয়া কাজের মাত্রা বাড়ান:

আপনাকে যে ব্যায়াম করতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। যদি মনে করেন নাচলে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্লান্তি কাটবে, তবে নাচের ক্লাসে যোগ দিন। অবসর সময় কাটান বাচ্চাদের সঙ্গে। মোদ্দা কথা, বাড়িতে একা বসে থাকবেন না, মানুষের মধ্যে থাকুন। হাসুন, হাঁটাচলা করুন। মেডিটেশন করতে পারলেও খুব ভাল ফল পাওয়া যায় বলে মনে করেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: ঠোঁটের কালচে দাগ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না! ভরসা রাখুন এই সব ঘরোয়া উপায়ে

বিবেচনা করে খাওয়াদাওয়া করুন:

মন চাইবে বেশি বেশি মিষ্টি, ভাজাভুজি খেতে। কারণ, ফ্যাট আর চিনি আপনাকে মানসিকভাবে খুশি রাখে। কিন্তু ইচ্ছের উপর রাশ টানুন। ওজন বাড়লে কর্মক্ষমতা আরও কমবে, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন। ফলে ক্রমশই আপনি গুটিয়ে যাবেন নিজের মধ্যে। সেটা হতে দেবেন না। ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলে খাদ্যতালিকায় সঠিক খাবার রাখুন। নয়তো বাড়ির সাধারণ খাবার খান। এ সব খেলেই সুস্থ থাকবেন।

গান শুনুন:

গান বা সুরও কিন্তু আপনার অস্থির জীবনকে দিতে পারে শান্তির প্রলেপ। মন খারাপ লাগলেই গান শুনুন। হয়তো হাল্কা রিদমের বা রোমান্টিক গান ভালবাসেন, বা পছন্দ করেন রক্তে দোলা দেওয়া নাচের ছন্দ শুনতে… সুর আপনাকে কখনওই নিরাশ করবে না। মন খারাপ লাগলে নানা ধরনের মিউজিক শুনুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement