কানের খোলও ফেলনা নয়! ছবি: সংগৃহীত।
‘জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা—/ ধুলায় তাদের যত হোক অবহেলা’,
তাই বলে কানের ময়লা!
নিজের কানের ভিতর জমে থাকা খোল সযত্নে রেখে দেন এক তরুণী। শুধু কি তাই? কান খোঁচানোর কাঠির মুখে জমে থাকা সেই ময়লা বিক্রি করে রোজগারও করেন।
পেশায় নেটপ্রভাবী লাতিশা জোন্সের পোস্ট করা সেই ভিডিয়োই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সম্প্রতি। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এটিকেও উপার্জনের একটি মাধ্যম বলে মনে করেন তিনি। কানের খোল বিক্রি করে দিনে প্রায় ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয় লাতিশার। তবে তিনি কোথাকার বাসিন্দা, তা জানা যায়নি।
কানের খোলসমেত ‘কটন বাড’ কী ভাবে ক্রেতার কাছে পৌঁছয়?
ব্যবহার করা ‘কটন বাড’ বা কান পরিষ্কার করার কাঠিগুলি খোলসমেত ‘সিল’ করা প্যাকেটে ভরে রাখেন লাতিশা। যথাযথ দাম পেলে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ঠিকানায় কুরিয়ার করে দেন তিনি। কাঠির মুখে কী পরিমাণ খোল রয়েছে, তা দেখে নির্ধারণ করা হয় দাম। যত বেশি খোল, দাম তত বেশি। তবে শুধু ব্যবহার করা ‘কটন বাড’ নয়, ক্রেতাদের সঙ্গে জনসংযোগ রক্ষা করতে কখনও কখনও সাদা পাতায় নিজের হাতে কয়েক লাইন লিখে দেন, এঁকে দেন চুম্বনচিহ্ন।
লাতিশার এই অভিনব উপার্জনের মাধ্যমের জন্যই তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। একই সঙ্গে অনেকে এমন এক ‘পণ্য’ নিয়ে ব্যবসার ব্যাপারে তাঁদের বিবমিষাও ব্যক্ত করেছেন। অথচ লাতিশার অনুরাগীরা ওই বিতর্কিত ওই জিনিসটি হাতে পাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতেও পিছপা হন না। অনলাইনে উদ্ভট জিনিসের ব্যবসা ইদানীং নজরে পড়ছে অনেকেরই। লাতিশার এই কাণ্ডও নজর কেড়েছে অনেকের।