সামাজিক বৈষম্যও এক ধরনের হেনস্থা। প্রতীকী ছবি
শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক সময়েই হরেক রকমের হেনস্থার শিকার হতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। কেউ শারীরিক নিগ্রহের সম্মুখীন হন, কাউকে আবার শুনতে হয় কুকথা। তবে এই ধরনের নিগ্রহ ছাড়াও আর এক ধরনের নির্যাতন রয়েছে, যা চোখ এড়িয়ে যায় বহু মানুষের। সামাজিক বৈষম্য। মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে, সামাজিক বৈষম্য এমন এক ধরনের হেনস্থা, যা শারীরিক নিগ্রহ বা কটু কথার থেকেও বেশি দেখা যায়।
আমেরিকার প্রায় ১৪ হাজার শিশুর উপর করা এই সমীক্ষা বলছে, কোনও শিশু যদি ছোটবেলায় সমাজিক বৈষম্যের শিকার হয়, তবে তার প্রভাব শারীরিক কিংবা মানসিক নিগ্রহের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। এমনকি এর প্রভাব থেকে যায় বড় হওয়ার পরেও। গবেষকদের বক্তব্য, তাঁদের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এমন এক শ্রেণির মানুষের কথা যাঁরা প্রত্যক্ষ ভাবে আগ্রাসী নন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ‘নিগ্রহের মানসিকতা’ রয়েছে। এই ধরনের ব্যক্তিরা কিছু ক্ষেত্রে এমন এক বৈষম্যমূলক আচরণ করেন, যা হেনস্থার সমতুল।
তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটলে, তা আটকাতে উদ্যোগী হওয়া জরুরি। প্রতীকী ছবি
গবেষকদের আরও দাবি, যাঁরা নিগ্রহের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, তাঁদের ভূমিকাও এ বিষয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা হয় নিগ্রহের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেন, না হয় তা প্রতিরোধ করেন। তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটলে, যাঁরা ঘটনাটি সামনে থেকে দেখছেন, তাঁদের তা আটকাতে উদ্যোগী হওয়া জরুরি বলেই মত গবেষকদের।