বাড়ছে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব। ছবি: সংগৃহীত
ব্যাপক হারে বাড়ছে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব। তা শুধু শুক্রাণু উৎপাদনে ঘাটতিই নয়, একই সঙ্গে যৌন সম্পর্কের সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে উত্তেজিত না হতে পারার সমস্যা বা ‘ইরেকটাইল ডিসফাংশন’ (ইডি)-এর পরিমাণও বাড়ছে।
অতিমারির সময়ে এটি বড় সমস্যার আকারে দেখা গিয়েছে। কোভিড সংক্রমণেরও তার পিছনে একটা বড় ভূমিকা আছে। কিন্তু তা ছাড়াও হালের জীবনযাত্রা এর একটা বড় কারণ।
দেখে নেওয়া যাক পুরুষের বন্ধ্যাত্বের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোন পাঁচটি বিষয়।
খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস: শুধু খাওয়াদাওয়া নয়, তার কারণে জমা মেদ। বেহিসেবি খাওয়াদাওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে যাঁদের মেদের পরিমাণ বেশি, সেই পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের হারও বেশি। তেমনই বলছে সমীক্ষা।
ধূমপান: জীবনধারার যে ক’টি কারণ পুরুষের বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী, এটির ভূমিকা তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ধূমপান করলে দ্রুত কমতে থাকে শুক্রাণু উৎপাদন। ‘ইরেকটাইল ডিসফাংশন’ (ইডি)-এর সমস্যাও দ্রুত বাড়ে।
মানসিক চাপ: হালে নানা কারণে মানসিক চাপ বাড়ছে। এটির সরাসরি প্রভাব পড়ে পুরুষের যৌনস্বাস্থ্যে। কমছে যৌনসম্পর্কে আগ্রহ। কমছে যৌনক্ষমতা।
ওষুধ: মানসিক চাপ বাড়ছে, আর সেই কারণেই অনেকে তার ওষুধ খাচ্ছেন। এই ধরনের ওষুধের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তার মধ্যে একটি হল যৌনতায় আগ্রহ কমে যাওয়া। এ ছাড়া আরও বহু ওষুধ একই কাজ করে। তাই নতুন কোনও ওষুধ খেতে শুরু করার আগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।
মদ্যপানে কি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বাড়ে?
মদ্যপান: অন্য কারণগুলির মতো এই অভ্যাসটি সক্রিয় ভাবে পুরুষের যৌনস্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে না। সপ্তাহে ১ দিন বা ২ দিন অল্প মদ্যপান নিঃসন্দেহে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বাড়িয়ে দেয় না। কিন্তু রোজকার মদ্যপান সেটি করতেই পারে। তাই সেই বিষয়ে সাবধান।