পায়ের দুর্গন্ধে টেকা দায় ছবি: সংগৃহীত
সাধারণত পায়ে ঘাম জমলে ত্বকের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। ফলে পাল্লা দিয়ে পায়ের পাতা ও আঙ্গুলের ভাঁজে বৃদ্ধি পায় বিভিন্ন ধরনের জীবাণু। এর ফলেই দুর্গন্ধ তৈরি হয় পায়ে। এই ভাবে পায়ে দুর্গন্ধ তৈরি হওয়ার ঘটনাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘ব্রোমোডোসিস’। পায়ে ছত্রাকের সংক্রমণ হলেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। আত্মীয় পরিজনদের সামনে এই সমস্যা ডেকে আনতে পারে বিড়ম্বনা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সহজ কয়েকটি টোটকা মেনে চললে সহজেই মুক্তি মিলতে পারে পায়ের দুর্গন্ধের থেকে।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। প্রতি দিন অন্তত এক বার মৃদু সাবান দিয়ে ঘষে পা সাফ করুন। সাধারণত সকাল বা সন্ধের সময় পা সাফ করাই ভাল। তবে পা ধোয়ার পর ভাল করে মুছে নিতে ভুলবেন না। পা ভিজে থাকলে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।
২। পায়ের নখ বড় রাখা চলবে না। নখের ভিতরে জমে থাকা ময়লা জীবাণুর স্বর্গরাজ্য।
৩। নিয়মিত পা ঘষে তুলে ফেলুন শুষ্ক ও মৃত চামড়ার টুকরো। ত্বকের এই মৃত অবশিষ্টাংশগুলি ভিজে অবস্থায় জীবাণুর বাসস্থল হয়ে ওঠে। ফলে বৃদ্ধি পায় পায়ের দুর্গন্ধ।
৪। নিয়মিত বদলাতে হবে মোজা। পা ঘামলে ভিজে যায় পায়ের মোজাও। তাই দিনে এক বার অন্তত মোজা বদল করা জরুরি। যাঁরা খেলাধুলো কিংবা শরীরচর্চা করেন তাঁদের প্রতি বার শরীরচর্চা করার পর মোজা বদলে ফেলা দরকার। যে মোজা আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে সেই ধরনের মোজা ব্যবহার করলে সুফল মিলতে পারে।
৫। মোজার মতো নিয়মিত বদল করতে হবে জুতোও। এক দিন অন্তর অন্তর বদলে বদলে পরতে পারেন জুতো। যে জুতোর শুকতলা দ্রুত শুষ্ক হয় সেই জুতোতে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ কম হয়। শুকতলা ভিজে থাকলে উল্টে জুতো থেকেই ছড়াতে পারে ব্যাক্টেরিয়া।
৬। দ্রুত পায়ের দুর্গন্ধ কমাতে চাইলে ডিয়োড্রেন্ট ছড়িয়ে দিতে পারেন পায়ে। এক টুকরো তুলো ভিনিগারে ভিজিয়ে পায়ের পাতা ও অঙ্গুল মুছে নিলেও উপকার মিলতে পারে। মুখগহ্বর পরিছন্ন করার দ্রবণ কিংবা অ্যালকোহলে ভিজানো তুলো দিয়েও মুছে নিতে পারেন পা। তবে এই দ্রবণগুলি ফাটা বা ক্ষতস্থানে ব্যবহার করা যাবে না।
৭। জুতো থেকে যদি গন্ধ ছড়ায়, তবে জুতো পরার ঘণ্টাখানেক আগে জুতোর ভিতরে লবণ কিংবা খাওয়ার সোডা ছড়িয়ে রাখতে পারেন।