ইয়ারফোনের বদলে ব্যবহার করুন হেডফোন ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে, বর্তমানে গোটা পৃথিবীতে প্রায় ১১০ কোটি মানুষের কোনও না কোনও ধরনের শ্রবণ সংক্রান্ত সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে। আর এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে যাঁদের বয়স ৩৫ বছরের কম তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ নিয়মিত ইয়ারফোন বা সমতুল্য যন্ত্র ব্যবহার করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির উন্নতি গান শোনা বা কথা বলার অনুভূতিতে বিপ্লব এনেছে এই কথা যেমন সত্যি, তেমনই এ কথাও সত্যি যে দীর্ঘ সময় এই ধরনের যন্ত্র কানে লাগিয়ে রাখলে দেখা দিতে পারে বড় বিপদ।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। মাথা যন্ত্রণা: দীর্ঘ সময় ইয়ারফোন ব্যবহার করলে কর্ণকুহরে চাপের তারতম্য ঘটে। ফলে কান ও সংলগ্ন এলাকায় ব্যথা হতে পারে। ইয়ারফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার বৃদ্ধি করতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যাও। পাশাপাশি অন্তঃকর্ণের মাধ্যমে দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়। দীর্ঘ ক্ষণ সশব্দে ইয়ারফোন ব্যবহার করলে এই অংশের ক্ষতি হতে পারে। ফলে পরে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২। শ্রবণশক্তি হ্রাস: দিনের পর দিন বেশি আওয়াজ-সহ ইয়ারফোন ব্যবহার করলে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একটানা উচ্চগ্রামের শব্দে কানের স্নায়ুগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৩। সংক্রমণ: দীর্ঘ ক্ষণ ইয়ারফোন পরে থাকলে কর্ণকুহরে বায়ু চলাচল করতে পারে না। ফলে কানের ভিতরের আর্দ্র পরিবেশে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি ইয়ারফোনে জমে থাকা ব্যাক্টেরিয়া থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে যাঁদের আগে থেকেই কানে সংক্রমণের সমস্যা রয়েছে তাঁদের ইয়ারফোন থেকে বিরত থাকাই ভাল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে যদি কানে লাগিয়ে শুনতেই হয় তবে ইয়ারফোনের বদলে হেডফোন ব্যবহার করা কানের পক্ষে বেশি ভাল।