কী বলছে গবেষণা ছবি: সংগৃহীত
উৎসবের উদ্যাপন হোক বা ব্যক্তিগত মুহূর্ত, স্মৃতিতে ধরে রাখতে নিজস্বী তুলতে দেখা যায় অনেককেই। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, কেউই বাদ যান না এই প্রবণতা থেকে। কিন্তু জানেন কি নিজস্বীতে আদৌ ফুটে ওঠে না মুখের প্রকৃত গড়ন? বরং অনেকটাই বদলে যায় মুখের চেহারা। অন্তত এমনটাই দাবি আমেরিকার টেক্সাসের একদল গবেষকের।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
নিজস্বীতে কী ভাবে মুখের গড়ন বদলে যায় তা জানতে প্লাস্টিক সার্জন বার্ডিয়া আমিরলাকের নেতৃত্বে একদল গবেষক ৩০ জন ব্যক্তির উপর একটি পরীক্ষা চালান। অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ২৩ জন ছিলেন নারী ও সাত জন ছিলেন পুরুষ। প্রত্যেক ব্যক্তির তিনটি করে ছবি তোলেন গবেষকরা। প্রথম দু’টি ছবি তোলা হয় মুখ থেকে ১২ ও ১৮ ইঞ্চি দূর থেকে। সাধারণত হাত ভাঁজ করে ও সোজা করে নিজস্বী তুললে এই দূরত্বেই থাকে ফোনের ক্যামেরা। তৃতীয় ছবিটি তোলা হয় পাঁচ ফুট দূর থেকে। প্রতিটি ছবি তোলার সময়েই একই স্থানে বসে ছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।
গবেষণার ফল বলছে নিজস্বী ও সাধারণ ছবিতে দেখা গিয়েছে বিস্তর ফারাক। ১২ ইঞ্চি দূর থেকে তোলা ছবিতে গড়ে ৬.৪ শতাংশ লম্বা দেখিয়েছে নাক। ১৮ ইঞ্চি দূর থেকে তোলা ছবিতে নাক শতকরা ৪.৩ ভাগ লম্বা দেখিয়েছে। অপরদিকে চিবুকের দৈর্ঘ্য নিজস্বীতে যায় কমে। ১২ ও ১৮ ইঞ্চি দূর থেকে তোলা নিজস্বীতে চিবুকের দৈর্ঘ্য কমে যথাক্রমে ১২ ও ১৭ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, নতুন প্রজন্মের মধ্যে ক্রমেই বাড়ছে নিজস্বীর প্রবণতা আর অনেক সময় নিজেকে কেমন দেখতে লাগছে তার উপর দাঁড়িয়ে আত্মপরিচয় নির্মাণের একটি প্রবণতাও দেখা যায় অনেকের মধ্যে। সে ক্ষেত্রে নিজস্বী তোলার প্রবণতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলেই মত অধিকাংশের।