পা ফোলা কিসের লক্ষণ ছবি: সংগৃহীত
মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। একটি অঙ্গে কোনও রকম গন্ডগোল হলে অন্যান্য অঙ্গেও তার প্রভাব পড়ে। কিডনি বা বৃক্ক দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনির সমস্যা সময় থাকতে সামলানো না গেলে প্রাণ নিয়েও টানাটানি হতে পারে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গগুলি অবহেলা করেন মানুষ। এমনই একটি লক্ষণ পা ফুলে যাওয়া।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
শরীরের বিভিন্ন প্রান্তে তরল পদার্থ জমে গেলে সংশ্লিষ্ট অঙ্গটি ফুলে যেতে পারে। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ইডিমা। সাধারণত কিডনির সমস্যায় পায়ের গোড়ালি ও চোখের তলায় জমা হয় তরল। অনেক সময়ে কিডনিতে অবস্থিত সূক্ষ্ম নালিগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হলে ‘নেফ্রোটিক সিনড্রোম’ দেখা যায়। এই সমস্যায় ফুলে যেতে পারে পা। আবার অনেক সময়ে কিডনির সমস্যায় সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে পা ফুলে যায়। খনিজ লবণের ভারসাম্যের হারালে শরীরের পেশিতে টান লাগার সমস্যা তৈরি হয়। মূলত ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসের সমস্যায় এমন ঘটনা ঘটে। সুতরাং পায়ের পাতা ও গোড়ালি ফুলে গেলে অবহেলা না করে পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের।
তবে পা ফোলা ছাড়াও একাধিক উপসর্গ কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। দেখে নিন—
১। ক্লান্তি: অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগা ব়়ৃক্কের সমস্যার অন্যতম প্রধান একটি লক্ষণ। কিডনি সঠিক ভাবে কাজ না করলে রক্তে বর্জ্য পদার্থ ও বিষাক্ত উপাদান বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে দেখা দেয় ক্লান্তি।
২। অনিদ্রা: মূত্রের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থগুলি দেহের বাইরে বেরোতে না পারলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩। ত্বকের সমস্যা: মানবদেহে প্রয়োজনীয় লবণ ও খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখা কিডনির অন্যতম প্রধান কাজ। ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে এই উপাদানগুলির খুবই জরুরি। ফলে শুষ্ক খসখসে ত্বক, ত্বকের ঘা কিডনির অসুখের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।
৪। বারবার মূত্রত্যাগ: বারবার মূত্রত্যাগ করার প্রবণতা কিডনির অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার মূত্র ত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
৫। রক্ত ও ফেনা: মূত্রের সঙ্গে রক্ত বার হওয়া বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়াও কিডনির সমস্যার লক্ষণ। মূত্রে অ্যালবুমিন নামক প্রোটিন বেশি থাকলে অতিরিক্ত ফেনা তৈরি হয়।