ফিরে এল জলের দৈত্য মেগালোডন? ছবি-প্রতীকী
আটলান্টিক শার্ক ইনস্টিটিউটের এক দল গবেষক সম্প্রতি সমুদ্রে বেরিয়েছিলেন হাঙর নিয়ে গবেষণা করতে। গবেষকদের দাবি, সেখানেই তাঁদের নৌকার তলায় সাঁতার কাটতে দেখা যায় বিশালাকার হাঙর-সদৃশ একটি প্রাণীকে। প্রথম দেখায় গবেষকরা ভাবেন সেটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া দৈত্যাকার হাঙর মেগালোডন। কিন্তু সত্যিটা কী?
গবেষকরা দেখেন, যন্ত্রে যা দেখা যাচ্ছে, সেটি কোনও হাঙর নয়। ছবি-প্রতীকী
সাধারণত জলের তলায় থাকা প্রাণী খুঁজে পেতে এক বিশেষ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করেন গবেষকরা। তাতে জলের তলায় থাকা প্রাণীর সম্ভাব্য প্রতিকৃতি দেখা যায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, যন্ত্রে দেখা যায় এমন একটি প্রাণী যা একেবারে হাঙরের মতো দেখতে। হাঙরের পিঠে ‘ডরসাল ফিন’ নামের একটি বিশেষ ধরনের পাখনা থাকে। এই প্রাণীটিরও তেমন পাখনা দেখা যায়। প্রাণীটির দৈর্ঘ্যেও চমক, প্রায় ৫০ ফুট! গবেষকরা জানিয়েছেন, সব দেখে প্রথমে তাঁদের মাথায় আসে মেগালোডন নামের একটি হাঙরের কথা। বিশালাকার সেই হাঙরটির ওজন ছিল প্রায় চল্লিশ হাজার কেজি। কিন্তু প্রায় ৩০ লক্ষ বছর আগেই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল ওই দৈত্যাকার হাঙর। তবে কি ফিরে এল জলের সেই দৈত্য?
ভুল ভেঙে যায় মিনিট পনেরো পর। গবেষকরা দেখেন, যন্ত্রে যা দেখা যাচ্ছে, সেটি কোনও হাঙর নয়। সেটি ম্যাকারেল মাছের বড় একটি ঝাঁক। মাছগুলি এমন ভাবে ঝাঁক বেঁধে সাঁতার কাটছিল যে যন্ত্রের ছবিতে সেটিকে হাঙরের মতো দেখাচ্ছিল। মাঠে মারা যায় মেগালোডন দর্শনের উদ্দীপনা।