বাজি পোড়ানোর আগে মাথায় রাখুন কিছু নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।
দীপাবলির রাতে আকাশময় বাজির রোশনাই ছড়িয়ে পড়বে। বাজি পো়ড়ানো নিয়ে বাড়ির ছোটদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে থাকলেও পিছিয়ে নেই বড়রাও। আলোর উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ বাজি পোড়ানো। রংমশাল, তুবড়ি, চরকির আলোয় যেন উৎসব আরও রঙিন হয়ে ওঠে। তবে বাজি উৎসবকে আরও জমকালো করে তুললেও বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। বাজি ফাটাতে গিয়ে যাতে কোনও বিপদ না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাই বাজি পোড়ানো শুরু করার আগে কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি।
১) খুদেদের বাজি থেকে দূরে রাখা জরুরি। বাচ্চারা যাতে নিজে হাতে বাজি না ধরায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আগুনে হাত পুড়ে যাওয়ার ভয় থেকেই যায়। তবে শুধু বাচ্চা বলে নয়, সকলেরই বাজি থেকে দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানো উচিত।
২) বাজিতে প্রথম বার আগুন দেওয়ার পর তা না ফাটলে ফের আগুন ধরাতে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। সে ক্ষেত্রে অন্য বড় কোনও বিপদ হতে পারে। এক বার না ধরলে সেই বাজি ফেলে দিন।
৩) অ্যালার্জি থাকলে আতশবাজির ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হয় অনেকেরই। সে ক্ষেত্রে বাজি ফাটছে, এমন জায়গা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। তবে একান্তই যেতে হলে মুখে মাস্ক পরে যাওয়া জরুরি।
বাজি পোড়ানো শুরু করার আগে কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
৪) বাজি ফাটানোর সময় হাতের কাছে অবশ্যই অ্যালো ভেরা জেল রাখুন। আগুনে সামান্য ছ্যাঁকা খেলেও অ্যালো ভেরা কাজে আসতে পারে। অ্যালো ভেরা লাগিয়ে নিলে ফোস্কা পড়ার ভয় থাকে না।
৫) বাজি ফাটানোর পর সেগুলি যত্রতত্র ফেলে রাখবেন না। বাজির খোলগুলি এক জায়গায় করে জলে দিয়ে দিন। কিংবা পোড়া বাজির উপর খানিকটা বালি ছিটিয়ে দিন।