ওজন কমাতে বুদ্ধি খাটান। ছবি: সংগৃহীত।
কম বয়সে ওজন কমানো খানিকটা সহজ হলেও তিরিশের পর রোগা হওয়ার পথ ক্রমশ কঠিন হতে থাকে। বয়স বাড়লে ভিতর থেকে ফিটনেস কমতে থাকে। ফলে তখন শরীরচর্চা কিংবা ডায়েট করেও ওজন কমানো যায় না। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, বয়স ৩০-এর কোঠা পেরিয়ে গেলে ওজন কমানো তুলনায় সমস্যাজনক হয়ে পড়ে। তবে খানিকটা বুদ্ধি করে ওজন কমানোর রুটিন তৈরি করলে, তিরিশের পর ওজন ঝরিয়ে রোগা ছিপছিপে হওয়া সম্ভব।
ফাইবার বেশি খান
৩০ হয়ে গেলে বিপাকহার কমতে থাকে। ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ সেটাই। বিপাকহার বৃদ্ধি করতে তাই ফাইবার বেশি করে খেতে হবে। ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। হজম ঠিকঠাক হলে রোগা হওয়া সহজ। তাই ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।
প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ায় রাশ টানুন
বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া বন্ধ করলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কিন্তু পছন্দের খাবার থেকে দূরে চলে যাওয়া তত সহজ নয়। তাই একেবারে বন্ধ করে দিতে না পারলেও খাওয়া কমাতে হবে। প্রতি সপ্তাহে ছুটির দিনে বাইরে বেরোলেই রেস্তরাঁয় ঢোকা যাবে না। মাসে ১-২ দিনের বেশি বাইরের খাবার খেলে ওজন কমানো কোনও বয়সেই সহজ নয়।
ডায়েট ক্যালশিয়াম আছে এমন খাবার রাখতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ’-এর করা একটি গবেষণা জানাচ্ছেন, শরীরের ক্যালশিয়ামের ঘাটতি থাকলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ, ক্যালশিয়াম কম থাকলে বিপাকহারও কমে যায়। হজমের গোলমাল থেকেও ওজন বাড়তে থাকে। তাই ডায়েট ক্যালশিয়াম আছে এমন খাবার রাখতে হবে। ক্যালশিয়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হাড়েরও যত্ন নেবে।
মদ্যপান করা কমান
অত্যধিক মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে রোগা হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যাওয়া অসম্ভব নয়। বিশেষ করে বয়স ৩০ হয়ে যাওয়ার পর ওজন কমাতে চাইলে প্রথম মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। অ্যালকোহলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। তা ছাড়া, অ্যালকোহল ডায়াবিটিস, রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।