স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ‘ওপেন ম্যারেজ’-এর কথা ভাবতে শুরু করেন তেহরিনা। ছবি: প্রতীকী।
চিরকালই নিষিদ্ধ প্রেমের হাতছানিতে সাড়া দিয়েছেন বহু পুরষ এবং মহিলা। অনেকে মনে করেন, বিবাহিত সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক দূরত্ব থেকেই পরকীয়া সম্পর্কের দিকে এগোন মানুষ। মানসিক দূরত্বের পাশাপাশি শারীরিক ভাবে অপূর্ণতা থেকেও পরকীয়া সম্পর্কের দিকে ঝোঁকেন মানুষ। তাই তেমন সম্পর্ক নিয়ে রাখঢাক অনেক বেশি। সম্প্রতি এক মহিলা স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে যা করলেন, তাতে হতবাক অনেকে। মহিলার নাম তেহমিনা কুইন্টানা। তেহরিনা জানতে পারেন তাঁর স্বামী ব্রায়ান্ট তিন বছর ধরে পরকীয়ায় মজেছেন। এ কথা জেনে স্বামীর জন্য নিজের মতো দেখতে আর এক জন সঙ্গীর খোঁজ করেন তেহমিনা।
স্বামীকে ভীষণ ভালবাসেন তিনি। তাই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ‘ওপেন ম্যারেজ’-এর কথা ভাবতে শুরু করেন। সমাজমাধ্যমে এসে তেহমিনা বলেন, ‘‘আমি মনে করি যখন আমরা কোনও সম্পর্কে থাকি, তখন তা টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা সম্ভব, সবটা করা উচিত। আমি সারা জীবন স্বামীর সঙ্গেই থাকতে চাই। ওকে খুশি করতে যা যা করতে হয়, আমি তা-ই করব।’’
গত বছর তেহমিনা সমাজমাধ্যমে নিজের মতো দেখতে একটি মহিলার খোঁজ করতে শুরু করেন। পোস্ট করে জানা, এমন কাউকে চাই, যিনি ব্রায়ান্টের সঙ্গে ‘ওপেন রিলেশনশিপ’-এ যেতে রাজি হবেন। তেহরিনা বলেন, ‘‘বরের বান্ধবীকে আমার থেকে বেশি সুন্দর হলে আমার সমস্যা হবে। তাই আমার মতো দেখতে হবে এমন এক জনের খোঁজ শুরু করি।’’ কিছু দিন পরেই অস্ট্রেলিয়ার এক মডেল কায়রা জনসনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। কায়রা সবটা জানার পর তেহরিনা ও ব্রায়ান্টের সঙ্গে দেখা করতে নিউ ইয়র্ক আসেন। তিন জনের সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে শুরু হলেও অল্প দিনের মধ্যেই তাঁরা যৌন সম্পর্কেও লিপ্ত হন।
বাজারে কায়রা ও তেহমিনা একসঙ্গে কোথাও বেরোলে অনেকেই যমজ বোন ভেবে ভুল করেন। ছবি: সংগৃহীত।
বাজারে কায়রা ও তেহমিনা একসঙ্গে কোথাও বেরোলে অনেকেই যমজ বোন ভেবে ভুল করেন। এই বিষয়টি তাঁরা বেশ উপভোগ করতে শুরু করেন। কিছু দিন পর তাঁরা একই রকম পোশাক পরতে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, চুলের বাঁধনেও মিল দেখা যায়। তেহমিনা বলেন, ‘‘কায়রা আসার পর আমাদের সম্পর্কের ভিত মজবুত হয়েছে। একে অপরের প্রতি প্রেমও বেড়েছে। বেশ ভাল আছি এখন আমরা।’’